West Bengal Assembly: বিধানসভায় পালিত প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন, দেখা মিলল না মন্ত্রী-বিধায়কদের
West Bengal Assembly: শনিবার বিধানসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের ১৩১তম জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সব প্রস্তুত ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কেউ না আসায় বিধানসভার বিশেষ সচিব ধৃতিমান পাহাড়ি সহ অন্য আধিকারিকরা শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
কলকাতা: শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের (Prafulla Chandra Ghosh) জন্মদিন পালন হল বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। তবে অতি ছিমছামভাবেই পালিত হল প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের জন্মদিন। জন্মদিন পালনের কর্মসূচিতে আসতে দেখা গেল শাসক বা বিরোধী নেতাদের কাউকেই। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বা শাসক দলের কোনও মন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলের কোনও বিধায়ককে। শনিবার বিধানসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের ১৩১তম জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সব প্রস্তুত ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কেউ না আসায় বিধানসভার বিশেষ সচিব ধৃতিমান পাহাড়ি সহ অন্য আধিকারিকরা শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ হলেন স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের। বিধানসভার অন্দরে তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কোনও মন্ত্রী বা বিরোধী বিধায়কদের কাউকেই দেখা গেল না। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন পরিষদীয় মন্ত্রী ছিলেন, তখন অনেক সময়েই এই ধরনের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যেতেন তিনি। তবে পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলিতে নিয়মিত আসেন। জানা গিয়েছে, আজ ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি পরিষদীয় মন্ত্রী ও স্পিকার।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে বাঁঙালিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ। জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত বাংলার ঢাকার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা। রসায়নে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। পড়াশোনা শেষে প্রেসিডেন্সিতে কিছুদিন অধ্যাপনার কাজও করেছিলেন। কিন্তু এরপর সেই অধ্যাপনার কাজ ছেড়ে কলকাতার ট্যাঁকশালে ডেপুটি অ্যাসেস মাস্টার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ সেই কাজে ইস্তফা দিয়ে সক্রিয় আন্দোলনের পথে নামেন। জেলেও যেতে হয়েছিল। আট বছর কারাবন্দি ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে বিপ্লবী পুলিনবিহারী দাসের সাহচর্যেও এসেছিলেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন লবণ সত্যাগ্রহেও।