Arjun Chaurasia: কমান্ড হাসপাতালের রিপোর্টে ‘ঝুলেই মৃত্যু’ বিজেপি নেতা অর্জুনের, খুনের ইঙ্গিত মেলেনি

BJP leader’s death: কমান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের একটি কপি রাজ্যের হাতেও তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিন ফটোগ্রাফ, এক্সরে, ভিসেরা রিপোর্টও জমা পড়ে আদালতে।

Arjun Chaurasia: কমান্ড হাসপাতালের রিপোর্টে 'ঝুলেই মৃত্যু' বিজেপি নেতা অর্জুনের, খুনের ইঙ্গিত মেলেনি
তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 12:55 PM

কলকাতা: হাইকোর্টে জমা পড়ল বিজেপির যুবনেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। মঙ্গলবার সিল করা খামে এই রিপোর্ট জমা দেয় সেনা হাসপাতাল (Command Hospital)। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। আদালত সূত্রে খবর, সেখানে উল্লেখ করা হয়, ঝুলেই মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। মৃত্যুর কারণ হিসাবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘হ্যাঙ্গিং’। বিজেপির অভিযোগ ছিল, এই ঘটনা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। খুনের অভিযোগ তোলে তারা। বিজেপি এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যায়। আদালত নির্দেশ দেয় আলিপুরের সেনা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে বিজেপি যুবনেতার দেহের। তেমনটাই হয়। শনিবার ময়নাতদন্তের দু’দিন পর মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট পেশ করে সেনা হাসপাতাল। সেখানে মৃত্যুর আগে কোনওরকম ধস্তাধস্তির ইঙ্গিত মেলেনি বলেই সূত্রের দাবি। একইসঙ্গে খুনের ইঙ্গিতও নেই বলে জানা গিয়েছে। ১৯ মে ফের এই মামলার শুনানি।

এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে বলা হয়,অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, সমস্ত হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় না। সেনা হাসপাতালও ময়নাতদন্তের জন্য ৩৩টি মামলা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। অন্যদিকে বিজেপির তরফে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ‘পুলিশ কোনও কেস শুরুই করেনি।’ বিজেপির তরফে আরেক আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, ‘নির্যাতিত ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন।’ এদিনের রিপোর্ট নিয়ে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ‘আত্মহত্যা হলেও চাপে পরে হয়েছে। ওকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।’

কমান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের একটি কপি রাজ্যের হাতেও তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিন ফটোগ্রাফ, এক্সরে, ভিসেরা রিপোর্টও জমা পড়ে আদালতে। যদিও এদিন ফের সিবিআই তদন্তের দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। আপাতত রাজ্যই এই ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে। গত শনিবার বিজেপির দাবি মেনে কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের নজরদারিতে ভিডিয়োগ্রাফি করা হয় গোটা পর্বের। এরপর ফের আরজি কর হাসপাতালে ফেরানো হয় অর্জুনের দেহ। সেখান থেকে তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।