Shuvendu Attacks Partha: ‘স্বাধীনতার পর সবথেকে বড় দুর্নীতি’, SSC দুর্নীতি মামলায় পার্থকে সিবিআই তলবের পরেই তোপ শুভেন্দুর

Shuvendu Attacks Partha: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বুধবার বিকালেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

Shuvendu Attacks Partha: 'স্বাধীনতার পর সবথেকে বড় দুর্নীতি', SSC দুর্নীতি মামলায় পার্থকে সিবিআই তলবের পরেই তোপ শুভেন্দুর
ছবি - চাঁচাছোলা আক্রমণে শুভেন্দু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 7:07 PM

কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC corruption case) বুধবার বিকালেই প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে(Former Education Minister Perth Chatterjee) নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল পড়ে যায় বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এবার তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষবাণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “ স্বাধীনতার পর সবথেকে বড় দুর্নীতি। কত বড় দুর্নীতি হয়েছে তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। দুর্নীতির মূলাধারের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার কান টানলে মাথা আসবে। পার্থবাবু কার কার সুপারিশে হাজার হাজার প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন তা তাঁকে জানাতে হবে”। এদিন এই ভাষাতেই পার্থর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। 

এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের ‘বেআইনি’ নিয়োগ নিয়েও তোপ দাগেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পরেশ অধিকারী তৃণমূলে যোগদান করার সময় তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন। সমস্ত নিয়ম ভেঙে তাঁর মেয়েকে চাকরি দেওয়ার শর্তও তিনি রেখেছিলেন। সেই শর্তপূরণ নিশ্চিতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধকারে রেখে হয়নি। নিয়মের বাইরে বেরিয়ে পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগ সরাসরি মমতার নির্দেশে হয়েছিল। হাত ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যয়ের”। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার কথা ছিল পার্থর। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগেই সেখানে পৌঁছন তিনি। এদিকে এদিনই কী গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে? সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।

সূত্রের খবর, চার পাতার প্রশ্নমালা সাজিয়ে এদিন পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। প্যানেলের মেয়াদ শেষে কীভাবে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছিল? ৫০০ কোটি টাকারা দুর্নীতি হলেও সেই টাকা কোথায় গেল? কোন কোন প্রভাবশালীর কথায় বেআইনি পদ্ধতিতে চলেছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া? নিয়োগের জন্য কত টাকা করে নেওয়া হয়েছিল? এদিন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে পার্থকে এই সমস্ত প্রশ্নই করেছেনে বলে সূত্রের খবর। তবে পার্থর উত্তরে সিবিআই সন্তুষ্ট হন কিনা এখন সেটাই দেখার।