Calcutta High Court: মৃত ব্যক্তির নামে জবকার্ড, ঢুকছে টাকাও, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হাইকোর্টে

Calcutta High Court: অভিযোগ, কল্যাণী ব্লকে একশো দিনের কাজ করেছেন এমন কিছু ব্যক্তি, যাঁদের কেউ মারা গিয়েছেন ২০১১ সালে, তো কেউ দেহত্যাগ করেছেন ২০১৪ সালে, আবার কেউ ২০১৫ সালেই মারা গিয়েছেন।

Calcutta High Court: মৃত ব্যক্তির নামে জবকার্ড, ঢুকছে টাকাও, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2022 | 5:15 PM

কলকাতা: জবকার্ডে কারচুপির অভিযোগে মামলা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক কারচুপির অভিযোগ। মৃত ব্যক্তিদের নামেও রয়েছে জব কার্ড, এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ, কল্যাণী ব্লকে একশো দিনের কাজ করেছেন এমন কিছু ব্যক্তি, যাঁদের কেউ মারা গিয়েছেন ২০১১ সালে, তো কেউ দেহত্যাগ করেছেন ২০১৪ সালে, আবার কেউ ২০১৫ সালেই মারা গিয়েছেন। এমন একাধিক উদাহরণ তুলে ধরে মামলা করা হয়েছে। যেমন ২০১৯ সালে পুকুর খোঁড়ার কাজ করে টাকা তোলা হয়েছে অমল আচার্যর নামে। অথচ তিনি নাকি ২০১৫ সালেই মারা গিয়েছেন।

এমন ঘটনা আরও রয়েছে। একশো দিনের কাজে মদনপুর পুকুর খুঁড়েছেন মনোরঞ্জন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। অথচ তিনি ২০১৪ সালে মারা গিয়েছেন। তাঁর নামেও নাকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। এমনকী পুলিশে কর্মরত এক ব্যক্তি এই প্রকল্পে টাকা তুলছেন বলেও অভিযোগ। মামলাকারীর বক্তব্য সেই নথিও রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সেই নিয়ে কিছুই করেনি বলে অভিযোগ তুলছেন মামলাকারী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি গড়িয়েছিল।

ওই মামলায় হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ। হাইকোর্টে জানিয়েছে, এই মামলা নিস্পত্তি করা হলেও, আগামী দিনে জেলাশাসকের সেই রিপোর্ট নিয়ে মামলাকারীর কোনও অসন্তোষ থাকলে, ফের তিনি আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হচ্ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগে আগেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরই মধ্যে আদালতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এক মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। হাইকোর্ট এদিন জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগগুলি তিনমাসের মধ্যে খতিয়ে দেখার জন্য।