AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Prisoner Missing: তথ্য বিকৃতির অভিযোগ সত্ত্বেও বন্দিদের বিস্তারিত ডিজিটালি নথিভুক্ত নয় কেন! প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ ডিসেম্বর। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা রঞ্জিত ভৌমিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

Prisoner Missing: তথ্য বিকৃতির অভিযোগ সত্ত্বেও বন্দিদের বিস্তারিত ডিজিটালি নথিভুক্ত নয় কেন! প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট
বন্দি নিখোঁজের ঘটনায় শুনানি। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2022 | 7:33 PM
Share

কলকাতা: জেলে বন্দি সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা কেন ডিজিটালাইজড নয়! বিস্মিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Correctional Home) বন্দি রঞ্জিত ভৌমিকের নিখোঁজ মামলায় শুনানি ছিল শুক্রবার। এই শুনানি চলাকালীনই বিস্ময় প্রকাশ করে টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের (Calcutta High Court) বক্তব্য, তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা ডিজিটাল হলে নথি বিকৃত করা সম্ভব হয় না। কিন্তু খাতায় নাম, সময় লেখায় তাতে তথ্য বিকৃত করার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি চেন্নাইয়ের এক মুক্ত সংশোধনাগারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। সেখানে ডিজিটালি তথ্য সংরক্ষণকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধার হয়। অন্যদিকে এদিনই আদালতের নির্দেশ মেনে রঞ্জিত ভৌমিকের নিখোঁজ মামলায় অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মনোনীত ডিজি র‍্যাঙ্কের অফিসার মুখ বন্ধ খামে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। আদালত সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ ডিসেম্বর। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা রঞ্জিত ভৌমিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বছর পঞ্চাশের রঞ্জিতের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে দেশি মদ বিক্রির অভিযোগ তোলা হয়। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজত হয়। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতার কারণে কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।

এরপর ২১ ডিসেম্বর উলুবেড়িয়া আদালতে জামিন পান রঞ্জিত। ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর রঞ্জিতকে বাড়ি নিয়ে যেতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পৌঁছয় তাঁর পরিবারের লোকজন। কিন্তু সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, রঞ্জিতকে আগের দিনই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রঞ্জিত বাড়ি ফেরেননি ২১ তারিখ। এমনকী এরপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এরপরই রঞ্জিত ভৌমিকের ছেলে হেস্টিংস থানায় যান। কিন্তু ভৌমিক পরিবারের দাবি, হেস্টিংস থানা অভিযোগ না নিয়ে আলিপুর থানায় যাওয়ার কথা বলে। সেখানেই এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হননি ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকজন। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

আদালতে ভৌমিক পরিবারের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুক্তভোগী একজনকে কীভাবে পরিবারের হাতে না তুলে দিয়ে একা ছেড়ে দেওয়া হল? সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, রাত ৮টা নাগাদ ছাড়া হয় রঞ্জিতকে। এখানেও প্রশ্ন ওঠে, জামিনে কাউকে মুক্ত করা হলে তাঁকে বিকেল ৫টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার নিয়ম। সূর্যাস্তের পর কীভাবে তা হলে ছাড়া হল? এরপরই গত ২১ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হয়। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার একটি রিপোর্ট জমা দেয় কোর্টে। তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। সেখানেই বলা হয়েছিল, অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সমস্ত নথি জমা দিতে হবে, যেগুলি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে আছে। এজি একজন আধিকারিককে ঠিক করবেন, যিনি ডিজিপি পদমর্যাদার আধিকারিক হবেন। তদন্ত করে সিল বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা