সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগে স্থগিতাদেশ, ১ ফেব্রুয়ারি মিলছে না নিয়োগপত্র

মেরিট প্যানেলে মোট ৯৫৭টি পোস্ট ছিল। কিন্তু, কোনও ওয়েটিং লিস্ট রাখা হয়নি সেখানে। এমনকি, কোন পরীক্ষার্থী কত নম্বর পেয়েছেন, তারও কোনও উল্লেখ ছিল না প্যানেলে।

সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগে স্থগিতাদেশ, ১ ফেব্রুয়ারি মিলছে না নিয়োগপত্র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 29, 2021 | 5:11 PM

কলকাতা: পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ মামলার পর এবার একই নির্দেশ অন্য একটি নিয়োগের মামলাতেও। সাব ইন্সপেক্টর অব ফুড অ্যান্ড সাপ্লাইয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, স্যাটের নির্দেশ ছাড়া আপাতত কোনও নিয়োগ করা যাবে না এই পদে।

২০১৮ সালে এই দফতরে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। ২০১৯ সালে তার পরীক্ষা হয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর এই দফতরে নিয়োগের প্যানেল প্রকাশিত হয়। মেরিট প্যানেলে মোট ৯৫৭টি পোস্ট ছিল। কিন্তু, কোনও ওয়েটিং লিস্ট রাখা হয়নি সেখানে। এমনকি, কোন পরীক্ষার্থী কত নম্বর পেয়েছেন, তারও কোনও উল্লেখ ছিল না প্যানেলে।

যথারীতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তুলে প্রায় ১০০ জন মামলাকারী স্যাটের দ্বারস্থ হন। অন্যদিকে প্যানেলে নাম থাকা প্রার্থীদের ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মামলাকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান হাইকোর্টে। মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, স্যাটে আপাতত একজন আইনজীবী থাকায় তারা এই মামলা শুনতে পারছেন না। এরপরই আপাতত এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গত বুধবারও এই একই ক্রনোলজি অনুসরণ করে রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৯ সালে হওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রায় আট হাজার প্রার্থীর নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ৩৭৪ জন প্রার্থী। এরা প্রত্যেকেই ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু প্রকাশিত প্যানেলে কারোর নাম ছিল না বলেই দাবি জানিয়ে স্যাটে মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন: দ্রুত হাওড়া পুরসভার ভোট করানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

স্যাটের রায় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে গেলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিযোগকারীরা। সব দেখে-শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, স্যাটকে দ্রুত মামলা শুনে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। কিন্তু মাত্র একজন আইনজীবী থাকায় সেই মামলাও শুনতে পারেনি স্যাট। এরপরই মামলাটি শোনেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন, স্যাটের নির্দেশ ছাড়া আপাতত কোনও নিয়োগ হবে না।

আরও পড়ুন: ‘মাননীয়া মায়ের মতো’, হাতে মমতার ছবি, রাজীবের চোখে জল