Calcutta High Court: ‘১০০ বছরের বাসিন্দা হলেও কোনও ব্যাপার নয়’, পোর্ট ট্রাস্টের জমি থেকে উচ্ছেদে বাধা দিল না হাইকোর্ট
Calcutta High Court: মাঝেরহাট স্টেশনের উল্টোদিকে ২ নম্বর হেলেন কেলার সরণিতে পোর্ট ট্রাস্টের বেশ কিছু জমি আছে। সেই জমিই দখলের অভিযোগ তুলেছিল পোর্ট ট্রাস্ট। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ মতো গত দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়।
কলকাতা: কলকাতা ও জেলায়, সর্বত্র বেআইনি জমি দখল নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি জমি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলেও নবান্নের বৈঠকে সরব হয়েছিলেন মমতা। এরই মাঝে পোর্ট ট্রাস্টের জমি মুক্ত করার কাজে স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মাঝেরহাট পোর্ট ট্রাস্টের জায়গা বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই জায়গা মুক্ত করা দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে জমি খালি করার কাজ চলছে।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে ওই অঞ্চলের বস্তির বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। তবে সেই কাজে আপাতত কোনও স্থগিতাদেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার মামলা শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ।
অভিযোগ, বন্দরের জমিতে তৈরি হয়েছে পার্টি অফিস। আছে একাধিক দোকানও। সেখানে হাসপাতাল বানানো হবে বলে দাবি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই জমি খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সব পক্ষের কথা না শুনে কী ভাবে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট, এমন প্রশ্ন তুলে বাসিন্দারা বলছেন, ‘আমরা ৩৫ বছরের বাসিন্দা’। উত্তরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘১০০ বছর থাকলেও কোনও বিষয় নয়।’
কয়েকদিন আগে ওই জমি দখল-মুক্ত করাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মাঝেরহাটে। জানা যায়, মাঝেরহাট স্টেশনের উল্টোদিকে ২ নম্বর হেলেন কেলার সরণিতে পোর্ট ট্রাস্টের বেশ কিছু জমি আছে। সেই জমিই দখলের অভিযোগ তুলেছিল পোর্ট ট্রাস্ট। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ মতো গত দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়। আইনজীবী ও পুলিশের উপস্থিতি দোকান ভাঙা হতেই সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। নোটিস ছাড়া সরিয়ে দেওয়া যাবে না বলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।