CBI Raid: ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় শহরের তিন জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই
ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তদন্তে নেমেছে সিবিআই। নিউটাউনের আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তদন্ত করছেন। ভিন রাজ্যে ব্যাঙ্ক প্রতারণা চলেছে এ রাজ্য থেকে। এমন অভিযোগও রয়েছে। সেই প্রতারণার সঙ্গে কিছু ব্যাঙ্ক কর্মীও যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিক। এ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
কলকাতা: ব্যাঙ্ক প্রতরণা মামলায় ফের সক্রিয় সিবিআই। সোমবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। দত্তাবাদ এবং নিউটাউনের দুটি জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই-এর তিনটি দল। যে সব এলাকায় গিয়েছেন, সেখানে বিভিন্ন ব্যাঙ্ককর্মীদের বাড়ি। ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তদন্তে নেমেছে সিবিআই। নিউটাউনের আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তদন্ত করছেন। ভিন রাজ্যে ব্যাঙ্ক প্রতারণা চলেছে এ রাজ্য থেকে। এমন অভিযোগও রয়েছে। সেই প্রতারণার সঙ্গে কিছু ব্যাঙ্ক কর্মীও যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিক। এ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আরও কিছু তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ব্যাঙ্ক প্রতারণায় যে জালিয়াতি হয়েছে তা খুঁজে বের করতে তৎপর সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর ১০ থেকে ১৩-র মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের কাছে IMPS প্রযুক্তি (Immediate Payment Service channel) মাধ্যমে মোট ৮২০ কোটি টাকা চলে যায় বলে অভিযোগ। মানি রিসিপ্ট ছাড়াই এ রকম অবৈধ লেনদেন বুঝতে পেরে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ওই টাকার লেনদেন আটকে দেয়। ৬৪৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। বাকি ১৭১ কোটি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আচমকা কীভাবে এ রকম বড় অংকের লেনদেন হল তা স্পষ্ট নয়। প্রযুক্তিগত ত্রুটি? না কোনও ব্যাঙ্ককর্মীর ভুল? না প্রতারণা? তা নিয়েই তদন্ত করছে সিবিআই।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল সিবিআই-এর কাছে। এর পরই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। সেই তদন্তে ব্যাঙ্কের প্রযুক্তিগত বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মী, imps লেনদেনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা রয়েছেন সিবিআই স্ক্যানারে।