মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ‘ঘুষ’ চেয়ে বিপাকে CID-র ৩ আধিকারিক

CID: এর পিছনে একটি ঘটনা রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে বাংলার রানিগঞ্জে একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে নগদ তিন কোটি ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ

মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে 'ঘুষ' চেয়ে বিপাকে CID-র ৩ আধিকারিক
সিআইডি-র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2023 | 5:27 PM

কলকাতা: বাংলার দুই সিআইডি-সহ মোট ৩ জন বাংলার উচ্চ পদস্থ অফিসারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত। তাঁদের মধ্যে একজন রানিগঞ্জ থানার পূর্বতন আধিকারিকও রয়েছেন। ৪ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে নয়া দিল্লিতে অ্যান্টি করোপশন ব্রাঞ্চ জোন ২-এর তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে জিতেন্দ্র নাগওয়ানি নামে এক ব্যক্তি ওড়লি থানায় অভিযোগ করেন, তিন আধিকারিক তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা তোলা আদায়ের চেষ্টা করেছেন।

এর পিছনে একটি ঘটনা রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে বাংলার রানিগঞ্জে একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে নগদ তিন কোটি ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময়ে তদন্তে জিতেন্দ্র নামে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে, উঠে আসে তাঁর সংস্থার নামও। ওই ব্যবসায়ীর সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করা হয়। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সে সময়ে এই মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উক্ত তিন আধিকারিক তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ চান বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওড়লি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআই-এর। আধিকারিকদেরই একাংশের বক্তব্য, এই মামলার ব্যপ্তি অনেক দূর বলে মুম্বই পুলিশের বদলে সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হয়।

এই মামলায় প্রবল অস্বস্তিতে বাংলার পুলিশ, সিআইডি। কলকাতা হাইকোর্টে  সিআইডি-র করা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে  প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং কেসও খারিজ করে দিয়েছে। কারণ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইডি ছাড়া কোনও তদন্তকারী এজেন্সি কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে মামলা দায়ের করতে পারে না।