গুলির চরিত্র নির্ধারণে আজ শীতলকুচিতে সিআইডি-র ফরেন্সিক ব্যালেস্টিক টিম

আজ শীতলকুচি (Sitalkuchi) যাচ্ছে সিআইডির ফরেন্সিক টিম (CID Forensic Balestic Team)। লক্ষ্য, ভোটের চতুর্থ দফায় শীতলকুচির জোরপাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথ লক্ষ্য করে ঠিক কী ধরনের গুলি চলেছিল।

গুলির চরিত্র নির্ধারণে আজ শীতলকুচিতে সিআইডি-র ফরেন্সিক ব্যালেস্টিক টিম
শীতলকুচিতে সিআইডি (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2021 | 8:42 AM

কলকাতা: আজ শীতলকুচি (Sitalkuchi) যাচ্ছে সিআইডির ফরেন্সিক টিম (CID Forensic Balestic Team)। লক্ষ্য, ভোটের চতুর্থ দফায় শীতলকুচির জোরপাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথ লক্ষ্য করে ঠিক কী ধরনের গুলি চলেছিল। সোমবার সিআইডির ফরেন্সিক ব্যালেস্টিক টিমে তিন সদস্যের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে।

উল্লেখ্য, ব্যালেস্টিক টিমের সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্রের উৎপাদন, বুলেটের আকার নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। শীতলকুচিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ভোটের দিন গুলি চলেছিল বুথের দিকে তাক করেই। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান সিআইডি-র। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, দরজা ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যায় গুলি। তা গিয়ে লাগে ব্ল্যাকবোর্ডের গায়ে।

শীতলকুচির ঘটনার একটি বিষয় নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে। সেই বিষয়টি তদন্তের পরিধির মধ্যে এলেও, তা পুরোপুরি এখনও খোলসা করা হয়নি। ঘটনার দিন গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন, সিআইএসএফের গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। পরে ১০ এপ্রিল অর্থাৎ ঘটনার দিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, তিন জনের বুলেট ইনজুয়েরি ও সামিউল মিঞাঁ নামে আরেক জনের স্প্লিন্টার ইনজুয়েরিতে মৃত্যু হয়েছে। এখানেই রহস্য। অর্থাৎ সিআইএসএফ যদি গুলি চালায়, সেখানে স্প্লিন্টার কীভাবে আসবে? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন ব্যালেস্টিক এক্সপার্টরা।

ঘটনার পর প্রকাশ্যে ঘটনাস্থলের কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসছে। যদিও তা আংশিক ছিল। গোটা বিষয়টি একবার ইতিমধ্যেই পুনর্নির্মাণ করেছে সিআইডি। আরও একবার তা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানকে তলব করে সিআইডি। সূত্রের খবর, ভোটের দিন ওই ৬ জওয়ান ভোটকেন্দ্র ও সংলগ্ন জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। তার ভিত্তিতেই তাঁদের তলব করা হয়। আগামী ২৫শে মে থেকে ২ জুনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানদের আলাদাভাবে তলব করা হয়। শীতলকুচির জোরপাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথ পরিদর্শন করে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিআইডি।

ভোট চতুর্থীর সকাল থেকেই হিংসার নিরিখে লাইমলাইটে ছিল শীতলকুচি। রাত থেকে কড়া প্রহরা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশের। নজর ছিল কমিশনেরও। তবুও রোখা সম্ভব হয়নি হিংসা। সকালেই পাঠানটুলিতে আনন্দ বর্মন নামে তেইশ বছরের এক তরুণের মৃত্যু হয়। তার ঘণ্টা খানেকের খবর আসে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী এলাকা জোরপাটকিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে যায়।

আরও পড়ুন: ছাপাখানার সামান্য ব্যবসায়ী থেকে দিঘায় হোটেলের মালিক, দু’বছরে কয়েক কোটির সম্পত্তি! কীভাবে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলেন রাখাল?

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণের পরই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিট তদন্তে নেমে ২ অফিসার-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জনকে তলব করে।