Mamata Banerjee: ‘ভারতের সংস্কৃতির কেন্দ্র হল বাংলা’, কলকাতায় জি-২০ বৈঠকের সূচনায় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে কর্মসংস্থান, GDP বেড়েছে দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এমএসএমই ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্য দেশে প্রথম। রাজ্যে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। ৪ গুণ GDP বেড়েছে।"
কলকাতা: চলতি বছরে প্রথমবার জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবে ভারত। তার আগে সোমবার কলকাতায় জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের শুরুতেই দেশ-বিদেশের সকলকে বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের সংস্কৃতির কেন্দ্র হল বাংলা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গেটওয়ে হল বাংলা। এছাড়া ভুটান, নেপাল, চিন, থাইল্যান্ড, মায়ানমারেরও গেটওয়ে হল বাংলা। তাই আমার রাজ্যে আসুন। আমাদের দেশে আসুন।” এ রাজ্যে শিল্প থেকে পর্যটনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তাই এ রাজ্যে বিনিয়োগেরও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজারহাটে কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে তিনদিন ব্যাপী জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভার সূচনা হয় এদিন। দেশ-বিদেশ থেকে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। সেই মঞ্চেই ঐক্যের বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই দেশ আমার দেশ, এটা আপনারও দেশ। গোটা বিশ্ব আমাদের মাতৃভূমি। একতাই আমাদের মূল মন্ত্র।” রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে একজোট হয়ে উন্নয়নের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “জরুরি মানুষের উন্নয়ন করা।” এপ্রসঙ্গে বাংলায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলায় সর্ব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এরাজ্যে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন- সমস্ত জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল ছাত্ররা স্কলারশিপ পায়। আমরা সমস্ত ছাত্রদের স্মার্ট ফোন দিয়েছি। মহিলাদের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হয়েছ এবং মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যায়। মুখমন্ত্রীর মস্তিষ্ক-প্রসূত দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বে পুরস্কৃত হয়েছে এবং কলকাতার ইকো পার্ক, ওয়াক্স মিউজিয়াম বিশ্বে সমাদৃত বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজ্যে কর্মসংস্থান, GDP বেড়েছে দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এমএসএমই ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্য দেশে প্রথম। রাজ্যে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। ৪ গুণ GDP বেড়েছে।”
প্রসঙ্গত, ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ধরে কলকাতায় জি-২০ সম্মেলন চলবে। দেশ-বিদেশের অতিথিরা রবিবার, ৮ জানুয়ারি থেকেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। জি-২০ সদস্যভুক্ত দেশগুলি ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, নাবার্ড এবং আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের মতো সংস্থার প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জি-২০’র মূলত দুটি ভাগ। একটি ফিনান্স ট্র্যাক এবং অন্যটি শেরপা ট্র্যাক। ফিনান্স ট্র্যাকের মধ্যে একটি হল জিপিএফআই। সেই জিপিএফআইয়ের বৈঠক শুরু হল কলকাতায়।