‘টাকা না থাকলে কংগ্রেস করা যাবে না?’ বিস্ফোরক নেতা
Congress: বুধবারই প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী
কলকাতা: টাকা না থাকলে কংগ্রেস করা যাবে না? নেতার পরিজনকে মঞ্চের সামনের সারিতে বসানোর আগে তার যোগ্যতা দেখা উচিত। সোমেন পুত্র রোহন মিত্র দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এমনটাই বললেন দক্ষিণ কলকাতার জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ। তাঁর দাবি, ‘যোগ্য কর্মীরা নেতৃত্বের আসতে পারছেন না। কারণ তাঁর অর্থ নেই। তিনি বিত্তশালী পরিবার থেকে উঠে আসেননি।’
পাশাপাশি, যুব কংগ্রেস বা ছাত্র পরিষদ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাঁর। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘এই সাংগঠনিক নির্বাচনের কারণেই কংগ্রেস দুর্বল হচ্ছে।’ টাকা নয়, যোগ্যতা হোক মাপকাঠি।
ঘটনাচক্রে, বুধবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে দল পরিচালনা নিয়ে কাঠগড়ায় তুলে প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র। আর এ দিন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দু’তিন জন পরিচিত মুখ ছাড়া কেউই ছিলেন না। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুর্শিদাবাদ থেকে প্রদেশ নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসিদেরও দেখা যায়নি বুধবারের বৈঠকে।
আর বৈঠকে থাকা নেতাদের অধীর বলেছিলেন, ‘আপনারা এখন কংগ্রেস করেন, দেখে অবাক লাগে।’ আর তারপরেই অধীর ঘনিষ্ঠ বলে রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত প্রদীপ প্রসাদের এই পোস্ট যে দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকার দিকেই ইঙ্গিত তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের অনেকেই।
বেশ কিছু দিন ধরেই রোহন মিত্র অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হচ্ছিলেন। দল পরিচালনা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলছিলেন। বুধবার সকালেও তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেখানে সেই বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে দল পরিচালনা করা হচ্ছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। বিভিন্ন জায়গাতে তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রোহন মিত্রের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকাকালীন অধীর তাঁর প্রথম ও দ্বিতীয় কার্যকালে কী কী বিষয়ে রোহনকে ‘অপমান’ করেছেন, তার ব্যাখ্যা রয়েছে চিঠিতে।
আরও পড়ুন: দ্রুতই ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন সেরে ফেলতে চায় তৃণমূল, কমিশনকে চেপে ধরতে আজ দিল্লিতে প্রতিনিধি দল