AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

COVID Vaccine: শহর দিয়ে গ্রামকে ঘেরার কৌশল, এবার টিকাকরণে নয়া ফর্মুলা রাজ্যের

হানাদার করোনা, ঢাল টিকাকরণই। তৃতীয় ঢেউয়ের আগে ব্যাপক টিকাকরণের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে রাজ্য।

COVID Vaccine: শহর দিয়ে গ্রামকে ঘেরার কৌশল, এবার টিকাকরণে নয়া ফর্মুলা রাজ্যের
আজ থেকে সময়সীমা মেনে টিকা দেবে কলকাতা পুরসভা।
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 2:45 PM
Share

কলকাতা: তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে ব্যাপক টিকাকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। দিনে ৪ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে রাজ্যের। কৌশল একটাই, শহর দিয়ে গ্রাম ঘেরা। অদৃশ্য হানাদারকে রুখতে শহরই হবে ঢাল। রাজ্য চাইছে, প্রতিটি মফস্বল শহরের নাগরিককে দুই ডোজ় টিকা দিতে। জেলায় জেলায় পৌঁছেছে এ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশও। তবে স্বাস্থ্য কর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত টিকার জোগান না থাকায়, অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে শহরকেই। কারণ সংক্রমণের রেখচিত্র বলছে, শহর থেকেই গ্রামে হানা দেয় করোনা।

১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ কর্মসূচিতে হাত দেয় রাজ্য। লক্ষ্য ছিল ৭০ শতাংশ রাজ্যবাসীকে অন্তত টিকা দেওয়া। সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন রাজ্যের ২৯ শতাংশ মানুষ। শহরাঞ্চলে টিকাকরণের হার ৪০ শতাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, টিকাকরণে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। ৭২ শতাংশ কলকাতাবাসী টিকা পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।

তবে স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় যেহেতু বহু মানুষ নিয়মিত আসেন। বিশেষ করে জেলা সদর থেকে বহু লোকের যাতায়াত হয় ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতাও বেশি থাকে। এদিকে টিকাকরণ চালু হতেই দেখা গিয়েছে সংক্রমণের হার উঠলেও মৃত্যু হার তুলনায় অনেক কম। সেই জায়গা থেকেই রাজ্য চাইছে আগে শহর, মফস্বলকে রক্ষা কবচ পরাতে।

তাতে যে সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ততটা উন্নত হয়, সে সব জায়গায় যাতে করোনা ছড়াতে না পারে। সে কারণেই প্রত্যেকটি জেলা সদরকে বলা হয়েছে, তাদের এলাকায় যে সমস্ত মফস্বল এলাকা রয়েছে, পুর এলাকা রয়েছে সেখানে টিকার প্রথম ডোজ় ও দ্বিতীয় ডোজ়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। তার পর গ্রামাঞ্চলের মানুষের টিকাকরণ হবে। কিন্তু কেন এই ভাগাভাগি? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, টিকার ভাড়ারে টান থাকার কারণে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বুঝেসুঝে টিকার ব্যবহার করতে হবে। সর্বত্র একই হারে বণ্টন করা যাবে না। সেই মতো দুই ২৪ পরগনা, হুগলিতে টিকার বরাদ্দ বাড়ানোও হয়েছে।

গত ২৮ জুলাই পর্যন্ত প্রথম ডোজ়ের নিরিখে জেলাগুলির টিকাকরণের হার- কালিম্পং ৫২% দার্জিলিং ৪০% নন্দীগ্রাম (স্বাস্থ্যজেলা) ৩৫% উত্তর ২৪ পরগনা ৩৬% হাওড়া ৩০% হুগলি ২৯% দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২৫% ডায়মন্ড হারবার (স্বাস্থ্যজেলা) ২৫%

টিকাকরণে পিছিয়ে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি। এ সব জেলায় ২৮ জুলাই পর্যন্ত প্রথম ডোজ়ের নিরিখে টিকাকরণের হার ২৫ শতাংশের নিচে বলে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর। আরও পড়ুন: হাসপাতালের গেটে সাঁটানো বিবর্ণ ‘নিরুদ্দেশ সংবাদ’ই বাড়িতে ফেরাল মানসিক ভারসাম্যহীন প্রৌঢ়কে