Kalatan’s arrest: পেগাসাস ব্যবহার করেছে সরকার? কলতানের গ্রেফতারির পর উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

Kalatan's arrest: কলতানকে গ্রেফতার গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন সুজন চক্রবর্তী। বলেন, "এটা গভীর ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। শাসকের তরফে আন্দোলনকে ভাঙার নানারকম প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। গভীর এই ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হবেই।"

Kalatan's arrest: পেগাসাস ব্যবহার করেছে সরকার? কলতানের গ্রেফতারির পর উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ
সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2024 | 5:00 PM

কলকাতা: বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ। বছর তিনেক আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফোনে আড়ি পাততে পেগাসাস ব্যবহারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্তকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর সেই পেগাসাস নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিপিএম। একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পর গ্রেফতার করা হয়েছে কলতানকে। সিপিএমের প্রশ্ন, পেগাসাস ব্যবহার করা হয়নি তো?

চিকিৎসকদের উপর হামলার চক্রান্ত নিয়ে একটি অডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অডিয়োটি প্রকাশ্যে আনেন। এদিন সকালে সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জীব দাস নামে আরও এক ব্যক্তিকে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়, গোপন সূত্রে অডিয়ো ক্লিপটি পেয়েছে তারা। এবং এই অডিয়ো ক্লিপের একজনের কণ্ঠ যে কলতানের সে বিষয়ে নিশ্চিত তারা।

কলতানকে গ্রেফতার করার পরই সরব হয়েছে সিপিএম। পুলিশ কীভাবে এতটা নিশ্চিত হল, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “যে পুলিশ এক বছরেও কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠের নমুনা ধরতে পারেনি, তারা ২৪ ঘণ্টায় এই অডিয়োর কণ্ঠ কার বুঝে গেল। একেবারে নিশ্চিত করে জানিয়েও দিল। খুব চাপে পড়ে একাজ করেছে পুলিশ। নির্দেশ আছে, তাই ধরতে হবে। ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে গিয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। তৃণমূলের কাছে অডিয়ো। পুলিশ সুয়োমোটো মামলা করেছে। এখনও পর্যন্ত যা যা হয়েছে, সব পরিকল্পিত।” কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ করে সুজন বলেন, “কুণাল ঘোষের কথার জবাব দেওয়া আমার কাজ নয়। তিনি আজকে এক কথা বলবেন, কালকে এক কথা বলবেন।”

এই খবরটিও পড়ুন

এরপরই কলতানের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে পেগাসাসের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এই বাম নেতা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে কথা হয়, তাহলে রেকর্ড কে করল? অন্য কেউ। সেটা তো বেআইনি। পেগাসাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্যত এই গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে? যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তাদের জেলে ঢুকতে হবে। তা সে কুণাল ঘোষ হোক কিংবা কুণাল ঘোষরা হোক। আমরা এই লড়াই ছাড়ব না।”

কলতানকে গ্রেফতার গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন সুজন চক্রবর্তী। বলেন, “এটা গভীর ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। শাসকের তরফে আন্দোলনকে ভাঙার নানারকম প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। গভীর এই ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হবেই।”

কলতানের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যে ঘটনাক্রমের মধ্য দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’-এর দাবিতে ঘটমান গণআন্দোলনকে বদনাম করার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনের বদনাম করার জন্য বিজেপি সরকারের পূর্বে ব্যবহৃত কৌশলগুলির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।” কলতান দাশগুপ্তকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের কাছে দাবি জানান সেলিম।