Remal effect on Election: রেমালের কেড়েছে মাথার ছাদ, ঠাঁই রাস্তায়, ১ তারিখের ভোটে পড়বে প্রভাব?
Remal effect on Election: ছ’টি পর্ব পার করে ভোট উত্সব শেষ পর্বে এসে দাঁড়িয়েছে। সপ্তম দফর আগে ভোটের মেজাজ সপ্তমে। লাস্ট ল্যাপে জনতাকে যতটা সম্ভব নিজেরে দিকে টানা যায় সেই চেষ্টার কোনও কসুর করছে না কোনও পক্ষ। নেতা নেত্রীরা তীব্র গতি প্রচার করছিলেন। ঠিক সেই সময়ই হানা দিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
কলকাতা: সাগরদ্বীপে সিনিয়র সিটিজেনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট নিলেন নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। শেষ পর্বের ভোটের হাতে গোনা কয়েক দিন আগে হানা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। যে কোনও ঘূর্ণিঝড় তার সঙ্গে নিয়ে আসে ক্ষয় ক্ষতি। এবারও সেটা হয়েছে। ঝড় এলে প্রতিবার প্রশ্ন ওঠে বাঁধ নিয়ে, নদী পারের মানুষের মাটির ঘর নিয়ে। এবারও উঠেছে। তবে এই সব প্রশ্নের তীব্রতা এবার অনেক বেশি। কারণ রেমাল ও ভোট এবার একে অন্যে সঙ্গে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। প্রশ্ন উঠছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও ভোটবাক্সে তার প্রভাব নিয়ে।
ছ’টি পর্ব পার করে ভোট উত্সব শেষ পর্বে এসে দাঁড়িয়েছে। সপ্তম দফর আগে ভোটের মেজাজ সপ্তমে। লাস্ট ল্যাপে জনতাকে যতটা সম্ভব নিজেরে দিকে টানা যায় সেই চেষ্টার কোনও কসুর করছে না কোনও পক্ষ। নেতা নেত্রীরা তীব্র গতি প্রচার করছিলেন। ঠিক সেই সময়ই হানা দিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তারও তীব্র গতি। রেমালের ল্যান্ডফলের আগে থেকেই তার গতিপথ মোটামুটি সামনে এসে গিয়েছিল। যে পথ ধরে রেমাল এল সেই পথেই বঙ্গে শেষ পর্বের ভোট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪টি কেন্দ্র, উত্তর ২৪ পরগনার ৩টি কেন্দ্র ও কলকাতার ২টি কেন্দ্র। মোট ৯টি কেন্দ্রেই প্রভাব বিস্তার করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। কোথাও বেশি কোথাও কম। কিন্তু শেষ পর্বের ভোটের পথ ও রেমালের পথ মিলেমিশে একাকার।
ঘূর্ণিঝড় প্রায় প্রতিবছরই আসে এ বাংলায়। চর্চাও কম হয় না। কিন্তু এবার চর্চাটা অন্য মাত্রায় উঠেছে ভোটের জন্য। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবাই মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় তো আবার রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন বাঁশ হাতে ড্রেনের জঞ্জাল পরিস্কার করতে। সোজা কথায়, মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা। ভোটের আগে এটা তো করতেই হবে! কিন্তু যে মানুষ ভোট দেবেন তাঁরা কী বলছেন? দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ, রেমালের পরোক্ষা প্রভাবে ভোগ করা কলকাতার মানুষ, তাঁদের কথাই যে আসল। করুণ অবস্থা গোসাবা থেকে হিঙ্গলগঞ্জের। এখন দেখার ভোটের ভরা বাজারে ১ তারিখ রেমাল স্মৃতি নিয়ে জনতা-জনার্দনের রায় কোনদিকে যায়।
গোসাবার এক বাসিন্দা তো বললেন, “ভোট দিতে যাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। পরিবার নিয়ে তো পথে বসে থাকতে হবে। এই অবস্থায় কাকে ভোট দেব আমি?” এক বৃদ্ধ বললেন, “ঘর-বাড়ি তো সব চলে গিয়েছে। আগে প্রশাসন আমাদের ঘরের ব্যবস্থা করুক। তারপর ভোটের কথা।”