Dengue: ঘরে ঘরে জ্বর, বেহালায় মৃত্যু মহিলার! করোনার মধ্যেই এবার শক্তি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু

Behala: ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩।

Dengue: ঘরে ঘরে জ্বর, বেহালায় মৃত্যু মহিলার! করোনার মধ্যেই এবার শক্তি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু
শীতের আমেজেও কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ, নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2021 | 5:01 PM

কলকাতা: পুজো মিটতেই একদিকে যেমন করোনা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে কলকাতায়। একই ভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ছে পুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই বেহালার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক মহিলা ডেঙ্গু (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারাও গিয়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। শুধু তাই নয় এই ওয়ার্ডের একাধিক বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন।

কলকাতা পুরসভার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকা। স্থানীয়রা জানান, পুজোর আগে থেকেই এখানে ডেঙ্গুর আতঙ্ক বাসা বেঁধেছে। ষষ্ঠীর দিন এলাকার এক মহিলা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পাশাপাশি একাধিক বাসিন্দার শরীরে ডেঙ্গু উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে বেহাল। যত্রতত্র নোংরা জমে থাকে। একইসঙ্গে গালিপিট একেবারেই পরিষ্কার করা হয় না বলেও তাঁদের অভিযোগ। মূলত এগুলিই মশার আঁতুর ঘর বলে দাবি স্থানীয়দের। যদিও এ বিষয়ে ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর কৃষ্ণা সিং জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই। এই প্রথম শুনলেন। এর আগে যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপের খবর তিনি পেয়েছেন, সেখানে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছেন। এখানেও খোঁজ নেবেন। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ শুক্রবার এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।

গত কয়েকদিনে বৃষ্টি হয়েছে প্রবল। বাড়ির আনাচে কানাচে, পথেঘাটে জল জমেছে। এই জমা জল মানেই মশার পৌষমাস। সর্বনাশ সাধারণ মানুষের। গত বছর করোনারা প্রকোপের মাঝে ডেঙ্গি জ্বর খুব বেশি ছড়ায়নি। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, গত বার এত বেশি বৃষ্টিও হয়নি। ডেঙ্গি মশাবাহিত রোগ হওয়ার কারণে জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্ম নেয় সবথেকে বেশি। ঠিক যে কারণে ডেঙ্গি থেকে বাঁচার জন্য জল যাতে কোথাও না জমে সে দিকে নজর দিতে বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই জল জমে একাকার পরিস্থিতি। আগামী কদিন যাবতও এই অবস্থা বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছে আবহওয়া দফতর। ফলে করোনা নিয়ে খানিক স্বস্তি এলেও ডেঙ্গি যে রাজ্য সরকারের পরবর্তী মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে, সেই সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।

ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩। এ রাজ্যে এই দুই সেরোটাইপেরই বাড় বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেখা গিয়েছে ডেন ২ সব থেকে মারাত্মক। এর পিছনেই রয়েছে ডেন ৩। মাইক্রো বায়োলজিস্টরা বলছেন, ‘ডেন ২ ডেন ৩ মারাত্মক। অথচ এবারও শোনা যাচ্ছে এই দু’টো এ রাজ্যে ভালই পাওয়া যাচ্ছে। ডেন ৩ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’

সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ছয় থেকে সাতদিনের মধ্যে সেরে যায়। হেমারেজিক ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। ডেন ২ বা ডেন ৩ ঘটাতে পারে ডেঙ্গু হেমারেজ। এর ফলে শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

আরও পড়ুন: West Bengal job: শিক্ষাগত যোগত্যা ছাড়াই গ্রামীণ পোষ্ট অফিসে কাজের সুযোগ! জানুন বিস্তারিত