‘আমাদের চাকরিটা একটু দেখুন’, মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে ডেপুটেশন উচ্চ প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীদের

Upper Primary: উচ্চ প্রাথমিকে আবেদনকারীদের একাংশের অভিযোগ, ২০১৮ সালে পাশ করলেও প্যানেল তৈরি না হওয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের অন্য পরীক্ষা দেন।

'আমাদের চাকরিটা একটু দেখুন', মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে ডেপুটেশন উচ্চ প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীদের
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 10:11 PM

কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা এবার দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি সংলগ্ন অফিসে গিয়ে এই সংক্রান্ত ডেপুটেশনও জমা দেন তাঁরা। ২০১৫ সালে টেট পাশ করার পাশাপাশি বিএডও করেন তাঁরা। কিন্তু এখনও চাকরি পাননি। সেই চাকরির দাবিতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে ওই তরুণ-তরুণীরা।

স্মারকলিপি প্রদানকারীদের কথায়, আপার প্রাইমারির পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তারপর ২০১৬ সালে পরীক্ষার ফল বের হয়। এরপর দীর্ঘ টালবাহানা শেষে ২০১৮ সালে ভেরিফিকেশন হয়। ২০১৯ সালে ইন্টারভিউ এবং প্যানেল প্রকাশিত হয়। তারপর কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলে যায় গোটা বিষয়টি। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর মেধা তালিকা বাতিল করা হয়। এর পর ২০২১ সালে ফের নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

কিন্তু কয়েক হাজার বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী এখনও বঞ্চিত বলে অভিযোগ স্মারকলিপি প্রদানকারীদের। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় হতাশা বাড়ছে। অজয় রক্ষিত নামে এক স্মারকলিপি প্রদানকারীর কথায়, “২০১৫ সালে আমরা টেট পাশ করি। বিএডও করেছি আমরা। প্রশিক্ষিত। দীর্ঘদিন নিয়োগ ঝুলে থাকার পর এখন যে নতুন করে নিয়োগ শুরু হয়েছে তাতে আমাদের কিন্তু আসন কম নয়। বহু প্রার্থী এমনও আছেন, যাঁরা ইন্টারভিউ দিতে আসেননি। সেই আসনও প্রায় দু’হাজার আড়াই হাজারের কাছাকাছি। সেটা যদি আপডেট করে দেন আমাদের কিন্তু একটা কর্মসংস্থান হয়। এদিন আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছি। মিলন সংঘের অফিসে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসেও ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। এর আগে বিকাশ ভবনেও ডেপুটেশন দিয়েছি। আমরা চাই আসনগুলি আপডেট করে আমাদের নিয়োগটা করা হোক।”

এই নিয়োগ নিয়ে কত যে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে তা পরিসংখ্যানে বলা কার্যত কঠিন। কিছুদিন আগেই উচ্চ প্রাথমিক নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। কয়েক হাজার প্রার্থী ইন্টারভিউয়ে বাধার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন। উচ্চ প্রাথমিকে আবেদনকারীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, ২০১৮ সালে পাশ করলেও প্যানেল তৈরি না হওয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের অন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। সরকারি চাকরিই করছেন। যেহেতু তাঁরা চাকরি করছেন তাই তাঁরা ইন্টারভিউতে বসতে পারবেন না, এমনই দাবিতে তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এমনকী তাঁরা যাতে কোনও ভাবেই প্যানেলভুক্ত না হতে পারেন তার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন। এর পরই প্রায় হাজার জন প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

এছাড়াও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও কম নয় পশ্চিমবঙ্গে। এসবের মধ্যেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন একদল চাকরি প্রার্থী। আরও পড়ুন: ‘মূর্তিতে আবার কেউ দড়ি ধরে টান না মেরে দেয়’, ‘দুর্গতিনাশিনী’ মমতায় কটাক্ষ দিলীপের