SMS Alert আপডেটের নামে ১৪ লক্ষ টাকার প্রতারণা, শহরে জাল ছড়াচ্ছে জামতাড়া গ্যাং
নারায়ণপুর এলাকার বছর নব্বইয়ের এক বাসিন্দা বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কলকাতা: এতদিন কেওয়াইসি আপডেটের নামে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে ভুরি ভুরি। তবে এবার নতুন পদ্ধতিতে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ উঠল শহরে। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার হলেন জামতাড়া গ্যাংয়ের এক সদস্য।
নারায়ণপুর এলাকার বছর নব্বইয়ের এক বাসিন্দা বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, এক ব্যক্তি তাঁকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করেছিলেন। অভিযোগ, ফোনে ওই ভুয়ো ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এসএমএস অ্যালার্টের জন্য বৃদ্ধের ফোন নম্বর চান। এরপরই একটি ওটিপি আসে ওই বৃদ্ধের মোবাইল ফোনে। তিনি ভুয়ো ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তা বলেন।
অভিযোগ, এরপরই ফোন কেটে দেওয়া হয়। তার পর আর কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় ওই বৃদ্ধের। তিনি ব্যাঙ্কের শাখা অফিসে যোগাযোগ করেন। এরপরই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখেন সেখান থেকে ১৪ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কপালে হাত পড়ে যায় ওই বৃদ্ধের। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপরই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। সেই মতো তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ হানা দেয় হাওড়ায়। সেখান থেকে অভিযুক্ত গৌতম মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে এই অভিযুক্তের। তাদের মদতেই এই ধরনের নতুন ধরনের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির কাজ চলত বলে অভিযোগ ওঠে।
এর আগে বেহালা অরবিন্দ পল্লির এক বৃদ্ধ সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৯১ হাজার টাকা খোয়ান। নাতিকে স্কুলে ভর্তি করবেন বলে টাকা রেখেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক। কেওয়াইসি বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি ফোন আসে। এরপরই একসঙ্গে এতগুলো টাকা উধাও হয়ে যায় ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।
করোনা, স্বাস্থ্য বিধি, সরকারি নিষেধাজ্ঞায় গত দেড় বছর ধরে জনজীবন কার্যত ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে মানুষের জীবনে বেড়েছে সাইবার নির্ভরতা। মুঠোতেই গোটা বিশ্ব বন্দি। কিন্তু প্রযুক্তির যেমন ভাল দিক আছে, তেমন যে খারাপটাও নেহাত কম নয়। প্রতি নিয়ত শহরে ঘটে চলা সাইবার ক্রাইম সে তত্ত্বেই সিলমোহর দিচ্ছে। শহরে বৃদ্ধদের টার্গেট করে এ ভাবে ব্যাঙ্ক প্রতারণা বাড়ছে। এ নিয়ে সরকার আরও বেশি করে সচেতনতা প্রচার চালাক বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। বিধাননগর কাণ্ডে ধৃতকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। ধৃতের কাছ থেকে আরও বড় কোনও সূত্র উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছে তারা। আরও পড়ুন: ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ! আবারও ভাসবে বাংলা, দুর্যোগের পূর্বাভাস শোনাল হাওয়া অফিস