কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে সরেছে নিম্নচাপ। তাই বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। শহরের চিত্র দেখেই ভয় পাচ্ছেন পুরকর্তারা। করোনা, অজানা জ্বর তো রয়েইছে, এরইমধ্যে ডেঙ্গির আতঙ্কও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্য কর্তারাও।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। সেটি ক্রমশ পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
ভারী বৃষ্টির ভ্রুকূটি রয়েছে উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ভুগতে হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটা বড় অংশকে। পাশাপাশি জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুরেও বৃষ্টির পরিমাণ ভালই হওয়ার সম্ভাবনা। মেদিনীপুর শহর এলাকার জন্যও রয়েছে একই পূর্বাভাস।
শুধু ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরই নয় পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি ও নদিয়া জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সোমবার-মঙ্গলবার দু'দিনই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও মূলত মঙ্গলবারই বেশি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি থেকে মুক্তি নেই শহর কলকাতারও। ভিজবে মহানগর। যদিও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বরং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেই ভিজবে কলকাতা। মৎস্যজীবীদের রবিবারের মধ্যে সমুদ্রবক্ষ থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। মৌসুমী অক্ষরেখা গয়া থেকে মালদহ হয়ে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়। এই নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গও। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। কিছুদিন আগেও নিম্নচাপ ও বর্ষার জোড়া ফলায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে বাংলার বিভিন্ন জেলার মানুষকে। ঘাটাল, হাওয়া, হুগলি-সহ বিভিন্ন জায়গায় জল নামার পরও মেটেনি জলযন্ত্রণা। আবারও নিম্নচাপের পূর্বাভাসে চিন্তার ভাঁজ এই সমস্ত জেলার মানুষের কপালে।