Dhaki: ঢাকের বোলে এবার মূর্ত প্রতিবাদ, বিচার চাইছেন ঢাকিরাও
Dhaki: আগরপাড়া থেকে দুই ঢাকি এসেছিলেন শ্যাম বাজারে গবেষকদের মানববন্ধনে প্রতিবাদের ঢাক বাজাতে। ঢাকি বঙ্কিম মণ্ডল বললেন, ''পেটের টানে ঢাক বাজাই। মন থেকে আমিও বিচার চাই। মনের ভিতর খুব কষ্ট লাগছে একটা মেয়েকে এভাবে মেরে দিল। খারাপ তো লাগবেই। তবে বিচার যেন হয়। মেয়েটা যেন বিচার পায়। এখানে ঢাক বাজাচ্ছি মনে কোনও আনন্দ নেই, মনে কষ্ট চেপে এখানে এসেছি।''
কলকাতা: ঢাকে কাঠি পড়া মানেই উৎসবের দিনগোনা। গত কয়েক বছরে বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই কার্যত উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এবার সে ছবিতে কিছুটা বদল এসেছে। ঢাকের শব্দে নেই সেই উৎসবের আনন্দ। আছে বিষাদ। আছে প্রতিবাদ। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাক নিয়েই প্রতিবাদ মিছিল করেন গবেষকরা। শিয়ালদহ থেকে শুরু হয় সেই মিছিল, শেষ হয় শ্যামবাজারে। সেখানে মানববন্ধন করেন গবেষকরা। একই সঙ্গে ঢাক বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।
অন্য বছর পুজোর মাসখানেক আগে ঢাকিদের বায়না শুরু হয়। বিভিন্ন পুজো কমিটির ডাকে কলকাতায় আসেন ঢাকিরা। এ বছর পুজোর আগে শহরে তাঁদের নিয়ে আসছেন প্রতিবাদীরা। যে ঢাকিরা আসছেন, তাঁরাও কি মন থেকে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন নাকি সবটাই পেশার অঙ্গ হিসাবে দেখছেন?
আগরপাড়া থেকে দুই ঢাকি এসেছিলেন শ্যাম বাজারে গবেষকদের মানববন্ধনে প্রতিবাদের ঢাক বাজাতে। ঢাকি বঙ্কিম মণ্ডল বললেন, ”পেটের টানে ঢাক বাজাই। মন থেকে আমিও বিচার চাই। মনের ভিতর খুব কষ্ট লাগছে একটা মেয়েকে এভাবে মেরে দিল। খারাপ তো লাগবেই। তবে বিচার যেন হয়। মেয়েটা যেন বিচার পায়। এখানে ঢাক বাজাচ্ছি মনে কোনও আনন্দ নেই, মনে কষ্ট চেপে এখানে এসেছি।”
বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে আরও একজন এসেছেন শ্যামবাজারে। তিনিও বিচারের দাবিতে সরব। তাঁর কথায়, ”অন্যবার এই সময় মনে আনন্দ থাকে পুজো প্যান্ডেলে যাওয়ার, ঢাক বাজানোর। কিন্তু এবার সেটা মনে হচ্ছে না। বারবার ওই মেয়েটার কষ্টের কথা মনে পড়ছে। মায়ের কাছে বিচার চাই।”
তিলোত্তমার বিচারপ্রার্থী জুনিয়র ডাক্তাররাও বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাক বাজিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। ঢাকের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, এবার এভাবেই তাঁদের উৎসবে ফেরা।