‘আগামী কয়েক দশকের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন’, জল্পনা বাড়িয়ে মোদীর ভূয়ষী প্রশংসা দিব্যেন্দুর চিঠিতে
তিনি তৃণমূল সাংসদ হলেও ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব এখন অনেকটাই বেশি। আর এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসা করে লেখা এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কলকাতা: ‘আরও একবার আমাদের গর্বিত করেছেন আপনি।’ এই ভাষাতেই চিঠির বয়ান শুরু করেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভূমিকার প্রশংসা করে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। দিব্যেন্দু ও তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এমনিতেই জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তার মাঝে এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও একবার আপনি আমাদের গর্বের কারণ হলেন। আফগানিস্তানে তালিবানদের প্রবেশের পর প্রবাসী ভারতীয় ও কূটনীতিকদের যে পদক্ষেপ করেছেন, তা উল্লেখযোগ্য। আপনার নেতৃত্বে বিদেশ মন্ত্রক যে বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়েছে, তা অনস্বীকার্য। আফগানিস্তানের শিখ বা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য যে বার্তা আপনি দিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। তাঁদের সুরক্ষার জন্য সব কিছু করতে তৎপর আপনার সরকার।’ শুধু তাই নয় আফগানবাসীদের ভারতে থাকার জন্য যে ফাস্ট ট্র্যাক ভিসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারও প্রশংসা করেন দিব্যেন্দু। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার এই সদর্থক পদক্ষেপ আগামী কয়েক দশক ধরে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
এই চিঠির পর নতুন করে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কী শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারীর মতো দিব্যেন্দুও বিজেপির পথে পা বাড়াবেন? অনেকেই ভেবেছিলেন নির্বাচনের পর অধিকারী পরিবারের ছবিটা আরও কিছুটা বদলে যাবে। কিন্তু সক্রিয়ভাবেই গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেননি দিব্যেন্দু ও শিশির অধিকারী। বিজেপিতে গেলে বড় কোনও পদ পাওয়ার আশা আর নেই বলেও দিব্যেন্দু সে পথে পা বাড়াননি বলে ধারনা একাংশের। অন্যদিকে, শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান জানাতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। চিঠির জবাব দিতে এক মাস সময় চেয়েছেন শিশির অধিকারী। কিন্তু দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তিনি এখনও তৃণমূলেই আছেন।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আরও বাড়তি নিরাপত্তাপক্ষী পাঠানো হয় শান্তিকুঞ্জে। ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয় তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে। এরপর রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুরের এই দুই নেতা। আরও পড়ুন: সেদিন কেউই অপরাধীদের সাহায্য করতে যাননি! নারদ মামলায় তবে কেন সিবিআই দফতরে ধর্না? রিজয়েন্ডারে স্পষ্ট করল রাজ্য