সেদিন কেউই অপরাধীদের সাহায্য করতে যাননি! নারদ মামলায় তবে কেন সিবিআই দফতরে ধর্না? রিজয়েন্ডারে স্পষ্ট করল রাজ্য

Narada Case: গত ১৭ মে নারদ কাণ্ডে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

সেদিন কেউই অপরাধীদের সাহায্য করতে যাননি! নারদ মামলায় তবে কেন সিবিআই দফতরে ধর্না? রিজয়েন্ডারে স্পষ্ট করল রাজ্য
সে দিন সিবিআই দফতরে ছুটে যান মমতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 8:24 AM

কলকাতা: নারদা মামলায় (Narada Case) রিজয়েন্ডারে ফের নিজেদের অবস্থান জানাল রাজ্য। ঘটনার দিন নিজামে সিবিআই কখনই নিরাপত্তা চায়নি। যাঁরা সিবিআই দফতরে গেছিলেন, তাঁরাও অপরাধীদের সাহায্য করতে যান নি। রাজ্য স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই পুলিশ পাঠায়। হাইকোর্টে নারদ-রিজয়েন্ডারে ফের সিবিআই দফতরে ধর্না নিয়ে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করল রাজ্য।

অভিযুক্তদের আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে নিয়ে যেতে চান, তাও জানানো হয়নি। মন্ত্রীরা কেউ সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে যাননি, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রিজয়েন্ডারে। প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই আদালতে রিজয়েন্ডার জমা দেয় রাজ্য।

প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় কেন নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও দুই তৃণমূল নেতার, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য। হাইকোর্টের তরফে হলফনামা দিয়ে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়েছে। কেন এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, তুষার মেহতা ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় ১০ দিন সময় চাওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

গত ১৭ মে নারদ কাণ্ডে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর নিম্ন আদালতে চার নেতার জামিন মঞ্জুর হয়ে যায়। কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবী ভার্চুয়ারি বিষয়টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানান। পরে রাতেই জামিন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।

ওই চার নেতা গ্রেফতার হওয়ার দিন সিবিআই দফতরে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটক ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই-এর আইনজীবী এই বিষয়টি হাইকোর্টে জানালে জামিন খারিজ হয়ে যায়। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে যে, নিজাম প্যালেসের গেটের বাইরে যে জমায়েত হয়েছিল সেখানে কোনওরকম ভাবেই অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা। জমায়েতকে উদ্দেশ্য করে কোনও কথাও বলেননি বলে দাবি করে রাজ্য।

নারদ মামলায় আসে নাটকীয় মোড়। এই মামলায় যুক্ত করা হয় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও। মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর জন্য হলফনামা দিতে বলে আদালত। কিন্তু এই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সওয়াল শেষ হওয়ার পরে হলফনামা পেশ করেন তাঁরা। শুনানির প্রায় ১৫ দিনের শেষে ৯ জুন হলফনামা জমা দিতে গেলে তা খারিজ হয়ে যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মূলত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতেই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হলফনামা দিতে দেরি হওয়ায় হাইকোর্ট তাতে সাড়া দেয় না। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী। ফের মামবা ফেরে হাইকোর্টেই।

এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামা দিয়ে জানান, রাজ্য সরকার এবং তাঁর অধীনে থাকা কলকাতা পুলিশ সমস্ত রকম ভাবে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট মামলায়। এ বার আজ দেওয়া হল রিজয়েন্ডার। রাজ্যের তরফে একটি রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়েছে ও অপর একটি রিজয়েন্ডার নিজে দিয়েছেন আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন: ‘নোটিস ঝুলিয়েই ক্ষান্ত থাকবে না পুরসভা,’ শহরের বুকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে খড়গহস্ত ফিরহাদ