Paray Shikshalay: বদলে যাচ্ছে নিয়ম! এবার থেকে স্কুল ‘টাইমিং’ মেনেই চলবে পাড়ায় শিক্ষালয়
Paray Shikshalay in West Bengal: এখন থেকে স্কুলের 'টাইমিং' অনুযায়ী চলবে পাড়ায় শিক্ষালয়। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি চলছিল প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে। যদিও এই নতুন নিয়ম কবে থেকে কার্যকর হবে, সেই বিষয়ে বিশদে কোনও উল্লেখ নেই বিজ্ঞপ্তিতে।
কলকাতা : সোমবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয় (Paray Shikshalay)। প্রথম দিনেই ভাল সারা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আবার অনেক জায়গায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। কোথাও খোলা জায়গায় ক্লাস, মাথার উপর শেড নেই। আবার কোথাও অন্য কোনও সমস্যার মুখে হোঁচট খেতে হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়কে। আর এরই মধ্যে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর (Directorate of School Education) থেকে মঙ্গলবার নতুন করে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এবার থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিনই চলবে পাড়ায় শিক্ষালয়। সোমবার থেকে শুরু করে শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এই পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি। তবে, যে জায়গায় বদল করা হয়েছে তার হল, এখন থেকে স্কুলের ‘টাইমিং’ অনুযায়ী চলবে পাড়ায় শিক্ষালয়। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি চলছিল প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে। যদিও এই নতুন নিয়ম কবে থেকে কার্যকর হবে, সেই বিষয়ে বিশদে কোনও উল্লেখ নেই বিজ্ঞপ্তিতে।
পাড়ায় শিক্ষালয়ের প্রথম দিনের শেষেই এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল জেলায় জেলায়। ক্লাস বসছে। তবে স্কুলে নয়। কোথাও খোলা মাঠে, আবার কোথায় কংক্রিটের মেঝেতে। স্কুলের ক্লাসরুমের ঘেরাটোপের বাইরে এমন খোলামেলা জায়গায় ক্লাস করার অভিজ্ঞতা ছোট ছোট পড়ুয়াদের কাছে একেবারেই নতুন। প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য এই পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মাঠের মধ্যেই ব্ল্যাকবোর্ড লাগিয়ে চলছে ক্লাস। একদিকে কোভিড পরিস্থিতি অন্যদিকে ছোট ছোট পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল থেকে দূরে। এই দুই সমস্যার মোকাবিলায় পাড়ায় শিক্ষালয় শুরু করে রাজ্য সরকার।
কিন্তু এই নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে কলকাতার বাইরের জেলাগুলিতে অনেক জায়গাতেই এক বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। কোথাও পড়ুয়াদের রোদ্দুরেই ক্লাস করতে হচ্ছে। কোথায় নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। আবার কোথাও পাড়ায় শিক্ষালয়ের এই নতুন ব্যবস্থা দেখার জন্য পথচলতি উৎসুক মানুষের ভিড়। এর মধ্যে পড়াশোনা কতটা হবে, বা ছোট ছোট পড়ুয়াদের মনোসংযোগ কতটা থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের একাংশ দাবি তুলেছেন, ক্লাস যদি একদিন বা দুই দিন হয়, তাও ভাল… কিন্তু স্কুলেই হোক।
পাড়ায় শিক্ষালয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্দিহান বিরোধী নেতারাও। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের মতে, “শিক্ষকরা এক জায়গা পাড়ায় শিক্ষালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নেবেন। তারপর আবার অষ্টম শ্রেণি থেকে ক্লাস নেওয়ার জন্য স্কুলে দৌড়াবেন। এটা কখনও সম্ভব!” যদি বিরোধীদের এই কটাক্ষকে আমল দিচ্ছেন না ফিরহাদ হাকিমরা। কলকাতার মহানাগরিকের পাল্টা জবাব, “আবার যদি করোনার ঢেউ বাড়ে, তখন বলবে যে এরাই করে দিয়েছে।”