Paray Shikshalay: পোকামাকড়ের উপদ্রবের মধ্যেই জঙ্গলে চলছে শিশুদের ক্লাস, ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা
Jalpaiguri Paray Shikshalay: খোলা আকাশের নিচে একটি সেগুন গাছের জঙ্গলের ভিতরের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারিপাশে জঙ্গল, ঝোপঝাড় আর সেখানেই সাপ-পোকা, মাকড়ের উপদ্রব রয়েছে।
জলপাইগুড়ি: অনেক টালবাহানা করে অবশেষে রাজ্যে চালু হয়েছে পড়াশোনা। তবে শিক্ষাআয়তনে নয় খোলা মাঠেই শিশুরা পড়াশোনা করছে। সোমবার থেকে চালু হয়েছে পাড়ায়-পাড়ায় শিক্ষালয়। প্রথমদিনই পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। তারপর উঠে এসেছিল একাধিক অভিযোগ। একে রোদ, তারপর নেই পানীয় জল। রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন শিশুদের অভিভাবকরা। এবার অন্য অভিযোগ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়াশোনা করায় ফের ক্ষুব্ধ অভিবাবকরা। স্কুলের মধ্যেই পঠন পাঠন চালুর দাবিতে প্রধান শিক্ষকদের বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। ধূপগুড়ির ভাওয়াল পাড়ার বৈরাতিগুড়ি ১ নং এস সি প্রাইমারি স্কুলের ঘটনা।
অভিভাবকদের অভিযোগ যে, খোলা আকাশের নিচে একটি সেগুন গাছের জঙ্গলের ভিতরের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারিপাশে জঙ্গল, ঝোপঝাড় আর সেখানেই সাপ-পোকা, মাকড়ের উপদ্রব রয়েছে। এমনকী যে কোনও সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়েও বিপদ ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় রীতিমত উদ্বেগে রয়েছেন তাঁরা। তাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতে রাজি নন। তাঁদের দাবি স্কুলেই শুরু হোক পঠন-পাঠন, না হলে পাড়ায় শিক্ষালয়ে পড়ুয়াদের তাঁরা পড়তে পাঠাবেন না ।
অভিভাবক পারমিতা ঘরামি বলেন, “একটি জঙ্গলের মাঝখানে পড়াশোনা চলছে। আর মিড ডে মিলের খাবার যেখানে দেওয়া হচ্ছে, তার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নদীর পাড়। স্বাভাবিক ভাবে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এমত অবস্থায় যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি পোকামাকড় কামড়াতে পারে। তাই আমরা চাইছি স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করা হোক।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবনী কুমার বিশ্বাস বলেন, “অভিবাবকরা আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা দাবি করেছেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো যাবে না। স্কুলের ভেতরেই তাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমার কিছু করার নেই, আমি গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, সোমবার সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সকাল ১১টা মিনিটে শুরু হয় ক্লাস। তবে উপস্থিতি ছিল নগন্য়। সূত্রের খবর, স্কুলে চলতি বছর যত সংখ্য়ক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে তার তুলনায় ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত সংখ্যা খুবই কম। ফলত চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষকরা। তাঁরা মনে করছেন,দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা, তাই স্কুলের তরফে অভিভাবকদের ফোন করে যেমন বলা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের পাড়ায় শিক্ষালয়ে নিয়ে আসার জন্য, তেমনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিন্তু প্রচার চালানো হচ্ছে।