Kolkata Municipal Corporation : এবার ‘দুয়ারে’ কলকাতা পুরনিগম, কী এই নয়া পরিষেবা?

Kolkata Municipal Corporation : এদিনই ছিল কলকাতা পুরনিগময় মেয়র পরিষদের বৈঠক। সেখানে দু'টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। তাতেই ঠিক হয়েছে এবার মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে কলকাতা পুরনিগমর পরিষেবা।

Kolkata Municipal Corporation : এবার ‘দুয়ারে’ কলকাতা পুরনিগম, কী এই নয়া পরিষেবা?
কলকাতা পৌরসভাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2023 | 7:22 PM

কলকাতা : কলকাতা পুরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) এবার পৌঁছাবে মানুষের দুয়ারে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুয়ারে পুরনিগম’। কী সেই পরিষেবা? এদিনই ছিল কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পরিষদের বৈঠক। সেখানে দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ঠিক হয়েছে এবার একেবারে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবে কলকাতা পুরনিগম। দালাল চক্র রুখতে এবার মানুষের বাড়িতে পৌঁছে যাবে কলকাতা পুরনিগমের কর্মচারীরা। মেয়র জানিয়েছেন, অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন কাজের জন্য দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ। এর ফলে একদিকে যেমন কলকাতা পুরনিগমর আয় কম হয়, সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই এবার মিউটেশন, অ্যাসেসমেন্ট সহ বিভিন্ন কাজ করার জন্য আধিকারিক নিয়োগ করা হবে।

তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় সব নথি দেখবেন। সব নথিপত্র সংশ্লিষ্ট জায়গায় জমা করে তাঁরা আবেদনকারীর বাড়িতে জানিয়ে দেবেন। এই কাজের জন্য সামান্য সার্ভিস চার্জ নেবে কলকাতা পৌর সংস্থা। অর্থাৎ কাজের বিনিময়ে সামান্য টাকা নেবে কলকাতা পৌর সংস্থা। এমনই জানিয়েছেন মেয়র। কলকাতা পুরনিগমর তরফ থেকে সেই আধিকারিকদের একটা ইনসেনটিভ দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানুষ যাতে দালাল চক্রের দ্বারা বিভ্রান্তির শিকার না হন তাঁর জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। 

একইসঙ্গে অবশেষে কলকাতা পুরনিগমের ওয়েভার স্কিম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই ওয়েভার স্কিম চালানো হবে। তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এই ওয়েভার স্কিম। কলকাতা পুরনিগমের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ওয়েভার স্কিম নিয়ে ব্যর্থতার মুখ দেখছিল কলকাতা পুর প্রশাসন। রাজস্ব খাতে যে পরিমাণ অর্থ আদায় হওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট স্কিম থেকে, তা কার্যত হচ্ছিল না। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।