Forest Bunglow: বাড়ছে সংক্রমণ, অনির্দিষ্টকাল পর্যটকদের জন্য বন্ধ বন দফতরের বাংলোর দরজা

Forest: বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বন দফতরের যাবতীয় বাংলোতে পর্যটকদের জন্য সমস্ত বুকিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।

Forest Bunglow: বাড়ছে সংক্রমণ, অনির্দিষ্টকাল পর্যটকদের জন্য বন্ধ বন দফতরের বাংলোর দরজা
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বুকিং বন্ধ বনদফতরের বাংলোয়। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2022 | 4:09 PM

কলকাতা: যে হারে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে, সেদিকে খেয়াল রেখে এবার ধীরে ধীরে কোপ পড়া শুরু পর্যটনক্ষেত্রে। ইতিমধ্যেই পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে রাশ টানার কথা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার বিভিন্ন জায়গায় বন দফতরের যে বাংলো রয়েছে, সেগুলির জন্য বুকিং বন্ধ করা হল। মঙ্গলবার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই নির্দেশ দিয়েছেন।

বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বন দফতরের যাবতীয় বাংলোতে পর্যটকদের জন্য সমস্ত বুকিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। এমনকী পুরনো যে সমস্ত বুকিং রয়েছে, সেগুলিও বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বন দফতরের তরফে। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই আপাতত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের আগের পর্যায়ে ফিরবে পর্যটনস্থলগুলি।

বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, যেভাবে করোনা ক্রমশ বাড়ছে তাতে বনবাংলোগুলিতে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। কে না একজন পর্যটক বাংলো ছেড়ে দেওয়ার পর অপর পর্যটক সেখানে থাকতে আসেন। এর ফলে বাংলোতে থাকা আধিকারিক হোক বা বনকর্মী কিংবা পর্যটক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকছে। সে কারণেই আপাতত বনদফতরের বাংলোগুলিতে কোনও পর্যটককে থাকতে দেওয়া হবে না। কোনও বুকিংও বনদফতর নেবে না।

সমস্ত অতিথি নিবাসের ২৫ শতাংশ দফতরের হাতে রেখে বাকি অংশ পর্যটকদের জন্য খুলে রাখার নিয়ম ছিল। কিন্তু করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর বনদফতরের সমস্ত বাংলো, অতিথি নিবাস যখন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় তখন একটি বাড়তি পাওনা হয় পর্যটকদের। সেই ২৫ শতাংশও দফতরের আওতা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের জন্য। এর বড় কারণ ছিল, বন দফতরের বাড়তি উপার্জন।

প্রথম ঢেউ কাটিয়ে ওঠার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ক্রমেই ভিড় বাড়তে থাকে। বহু মানুষ বিভিন্ন দফতরের যে গেস্ট হাউস রয়েছে সেগুলিতে বুকিং করতে থাকেন। গেস্ট হাউসগুলির চাহিদা দেখে সে সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে পরামর্শ দিয়েছিলেন কোনও গেস্ট হাউসই আর সংশ্লিষ্ট দফতরের হাতে ধরে রাখার দরকার নেই। বরং বাড়তি উপার্জনের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। সেই পরামর্শ গ্রহণ করে বন দফতর তাদের হাতে থাকা সমস্ত গেস্ট হাউস পর্যটকদের জন্য ছেড়ে দেয়। এতে লাভই হয় দফতরের।

ক্রমেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও সংক্রমিতের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।  উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংক্রমণের চিত্রও খুব একটা স্বস্তির নয়। সমস্ত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখনও অবধি যা খবর তাতে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: Deputy Mayor Atin Ghosh: প্রিকশন ডোজ় নিতে পারলেন না কলকাতার ডেপুটি মেয়র