Deputy Mayor Atin Ghosh: প্রিকশন ডোজ় নিতে পারলেন না কলকাতার ডেপুটি মেয়র
Covid Vaccine: অতীন ঘোষ গত ১৬ এপ্রিল কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন। তাই এ বছর ১৬ জানুয়ারি তিনি বুস্টার ডোজ় নেওয়ার যোগ্য হবেন।
কলকাতা: প্রিকশন ডোজ় নিতে এসে ফিরে যেতে হল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষকে। নিজের ওয়ার্ডের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার থেকে ফিরে গেলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কোউইনে তাঁকে এখনই বুস্টার ডোজ় নেওয়ার যোগ্য হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। সেকারণেই ডোজ়টি নিতে পারলেন না। অতীন ঘোষ বলেন, বিরোধীরা অভিযোগ করে প্রভাব খাটিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তা যে কত বড় ভুল তা প্রমাণ হয়ে গেল।
সোমবার থেকে দেশজুড়ে করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ় বা বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছে। এদিনই কলকাতা পুরসভার আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে তদারকি করতে এসে অতীন ঘোষ জানতে পেরেছিলেন, তিনি এই ডোজ় নেওয়ার জন্য ‘এলিজিবল’। অর্থাৎ তিনি বুস্টার ডোজ় নিতে পারবেন। সেইমতো মঙ্গলবার তিনি ডোজ় নিতে যান। কিন্তু তখন কোউইন অ্যাপে তাঁর মোবাইল নম্বর এবং আধার কার্ড নম্বর দিতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেন অতীন ঘোষ ‘নট এলিজিবল’।
স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়। দেখা যায়, অতীন ঘোষ গত ১৬ এপ্রিল কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন। তাই এ বছর ১৬ জানুয়ারি তিনি বুস্টার ডোজ় নেওয়ার যোগ্য হবেন। এরপরই ডেপুটি মেয়র ঠিক করেন, ১৭ জানুয়ারি তিনি বুস্টার ডোজ় নেবেন। তবে এভাবে বিভ্রান্ত হওয়ায় তিনি কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ।
যদিও বিষয়টি হালকা করে দিয়ে অতীন ঘোষ বলেন, “অনেক সময় ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধীরা প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করে। সেটা যে কতটা ভুল তা মঙ্গলবার পুরপ্রশাসনের এই নজরদারিতে প্রমাণিত হয়ে গেল। কোউইন অ্যাপ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগতভাবে যথেষ্ট কার্যকর। কেউ এই অ্যাপে প্রভাব খাটাতে পারবে? যে কেউ আসলেন আর জোর করে বললেন বুস্টার দিতে হবে, তা যে সম্ভব নয়, সেই বিষয়টি আজ আমার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে গেল। এলিজিবল ছাড়া বুস্টার দেওয়া সম্ভব নয়।”
একইসঙ্গে অতীন ঘোষ বলেন, “কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে বুস্টার ডোজ় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমাদের পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী এবং আধিকারিক মিলিয়ে মোট ২৫০ জন করোনায় আক্রান্ত। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। তখনই সবকটি ওয়ার্ডে বুস্টার ডোজ় দেওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
বুস্টার ডোজ সম্পর্কে মানুষ এখনও ততটা ওয়াকিবহাল নন। কারা, কীভাবে এই প্রিকশন ডোজ় নেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বহু মানুষের মনে। তাই কলকাতা পুরসভার আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিতে ভিড় কিছুটা হালকা। সোমবার প্রথমদিন কলকাতায় ৩৯৭১ জন বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
তবে এতজন স্বাস্থ্যকর্মী একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নাগরিক পরিষেবা যে কিছুটা সমস্যার মুখে রয়েছে তা তিনি স্বীকার করে নেন। অতীন ঘোষ বলেন, “আমি আমার বিভাগের কর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছি। পরপর অনেকেই আক্রান্ত। বার্থ সার্টিফিকেট প্রদানকারী বিভাগে ২২ জন কর্মীর মধ্যে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত। তাই সেই বিভাগ খোলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ড্রপবক্সে আবেদন জমা নিচ্ছি। কিন্তু এই ধরনের জরুরি পরিষেবা আগের মত স্বাভাবিক করতে কিছুটা সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে আমরা নিত্যদিন পরিষেবা নিয়ে রিভিউ মিটিং করছি।”