Municipal Election: চার পুরসভার করোনা পরিস্থিতি কী? কতজন আক্রান্ত? কমিশন ও রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত

Municipal Corporation Calcutta High Court: আপাতত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জানুয়ারি। সেদিনই নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে আদালতকে।

Municipal Election: চার পুরসভার করোনা পরিস্থিতি কী? কতজন আক্রান্ত? কমিশন ও রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত
এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় নয়া মোড়। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2022 | 3:01 PM

কলকাতা: ২২ জানুয়ারি চার পুরসভা- চন্দননগর, আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়তে ভোট আদৌ হবে কি? মঙ্গলবারের শুনানিতেই ঝুলে রইল সে প্রশ্নের উত্তর। তবে এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে, আদৌ ওই চার পুরসভার বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি ঠিক কী? কত জন আক্রান্ত? কতগুলি কনটেইনমেন্ট জোন? এই পরিস্থিতিতে ভোট করার মতো আদৌ কি পরিকাঠামো রয়েছে কমিশনের? এই সব প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত জানাতে হবে কমিশনকে। তারপরই এই সংক্রান্ত মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।আপাতত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জানুয়ারি। সেদিনই নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে আদালতকে।

এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন পুরভোট পিছনোর মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “যেভাবে করোনা বাড়ছে তাতে নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।” তিনি আদালতে উল্লেখ করেন, “কমিশন জানিয়েছে তারা গাইডলাইন স্থির করেছে। এতেই দায়িত্ব শেষ হয় না। এটা সদিচ্ছা হতে পারে। কিন্তু তাদের কোনও পরিকাঠামো নেই, যেখানে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে। গঙ্গাসাগর মেলায় যেমন কড়া নির্দেশ এসেছে, সেকথা উল্লেখ করে বলা যায় মেলার নির্দিষ্ট সময় হতে পারে। কিন্তু নির্বাচন পরে হলে সমস্যা নেই।”

কমিশনের তরফে আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, “গাইডলাইন নতুন করে করা হয়েছে। যেখানে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য যদি আরও গাইডলাইন করতে বলে, আমাদের কোনও সমস্যা নেই।” এরপর কমিশনের তরফে সওয়াল করা হয়, ” সরকার কোনও লকডাউন করেনি। তাহলে ভোট বন্ধ হবে কেন?”

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব প্রশ্ন করেন, “কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, তার হিসেব কি আছে কমিশনের? চার পুরসভার ভোট যেখানে, সেখানে করোনার কী পরিস্থিতি?” প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ” কমিশনের ক্ষমতা আছে নির্বাচন স্থগিত করার। কমিশন কি স্বাধীনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে?”

এরপর কমিশনের আইনজীবী জানান, তিনি এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে তবেই আদালতকে জানাতে পারবেন। এরপরই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশন ও রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, চার পুরসভার কন্টেন্টমেন্ট জোনের কত, সেখানকার বর্তমান কী পরিস্থিতি, কতজন আক্রান্ত ইত্যাদি পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদালতকে জানানোর। আগামী বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারের শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সওয়াল করেছিলেন, “কোন রাজনৈতিক দল বলবে না ভোট হোক। শুধু সল্টলেকেই ২৩ কন্টেন্টমেন্ট জোন। কমিশনের উচিৎ নিজে এগিয়ে এসে ভোট বন্ধ করা।” বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আরও সওয়াল করেছিলেন, “বিধাননগরেই ২৩টি কনটেইনমেন্ট জোন। এই সময় না ঠিকভাবে প্রচার করা যাচ্ছে, না ভোটাররা বাইরে আসতে পারছেন না। ভোটটা দেবেন কীভাবে? এই পরিস্থিতিতে ভোট করাটা কি একান্ত জরুরি?”

এরপরই সেদিন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্রাত্যহিক জীবন থেমে থাকে না। কমিশন শুধু বলতে পারে ভোট হলে কমিশন পদক্ষেপ নেবে।” রাজ্যের পক্ষ থেকে এজি সওয়াল করেছিলেন, “কমিশন চাইলে স্বাস্থ্য দফতর তাদের সাহায্য করবে।”

আরও পড়ুন: বুধে বাবুঘাটে ট্রানজিট ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী, খতিয়ে দেখবেন মেলার প্রস্তুতি