তথ্য মোছার কাজ শুরু ইভিএম থেকে, ফল নিয়ে মামলা হলে তার ভবিষ্যৎ কী, উঠছে প্রশ্ন

Assembly Election 2021: মূলত ভোটের ফল নিয়ে কারও যদি প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে ফলপ্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করাই দস্তুর।

তথ্য মোছার কাজ শুরু ইভিএম থেকে, ফল নিয়ে মামলা হলে তার ভবিষ্যৎ কী, উঠছে প্রশ্ন
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2021 | 6:37 PM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) থেকে তথ্য মোছার কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে ভোট সম্পর্কিত যে সমস্ত ‘ডাটা’ ওই মেশিনে ‘স্টোর’ হয়েছে, নিয়ম মোতাবেক ১ জুলাই থেকেই তা ‘ডিলিট’ করা হচ্ছে। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের ফল প্রকাশের ৪৫ দিনের পর থেকে এই ইভিএমে তথ্য মোছার কাজ শুরু হয়। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না।

রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এবার ভোট হয়েছে ২৯২টিতে। এর মধ্যে যে ক’টি কেন্দ্রের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে, সেগুলি বাদে ভোটে ব্যবহৃত সব ইভিএমই ‘ক্লিয়ার’ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আটটি বিধানসভা আসনের ফলাফল নিয়ে মামলা হয়েছে। সেগুলি বাদেই কাজ চলছে। ইভিএমগুলির ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনও হচ্ছে।

ইভিএম ক্লিয়ার বিষয়টি কী?

যে ইভিএমে যেমন ভোট জমা হয়েছিল, সেগুলি মোছার কাজই হল ইভিএম ক্লিয়ার করা। এই ইভিএমই পরবর্তী কালে অন্য কোনও ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে। তার আগে অবশ্য কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা দেখে নেন, কমিশনের কাছে থাকা ইভিএম সম্পর্কিত যে তথ্য ছিল, তার সঙ্গে ভোটের পরে ইভিএমের তথ্যে কোনও ফারাক আছে কী না।

কথা ছিল অগস্টে এই প্রক্রিয়া হবে। নির্বাচন কমিশন প্রথম দিকে সে নির্দেশই দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নির্দেশ বদলে ফেলে তারা। সিদ্ধান্ত হয়, জুলাইয়েই হবে ইভিএমের তথ্য মোছার কাজ। সেই অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে তা শুরু হয়েছে।

কিন্তু কেন এই তথ্যগুলি মুছে ফেলা হয়?

কমিশন সূত্রে খবর, এই ইভিএমগুলিই অন্য রাজ্যের নির্বাচনে ব্যবহার হবে অথবা এ রাজ্যের যে সব আসনে (এখনও পর্যন্ত সাতটি আসনে হওয়ার কথা) উপনির্বাচন হবে সেখানেও ব্যবহার করা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কমিশন। তাদের বক্তব্য, আগে সমস্ত তথ্য পরিষ্কার করার কাজ শেষ হোক। তারপর সিদ্ধান্ত হবে কবে, কোন নির্বাচনে এই ইভিএমগুলি ব্যবহার হবে।

মূলত ভোটের ফল নিয়ে কারও যদি প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে ফলপ্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করাই দস্তুর। সেইমতো এখনও অবধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পাঁচ তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী পিটিশন জমা দিয়েছেন। বিজেপিরও তিনজন পরাজিত প্রার্থী এই পথেই হেঁটেছেন, তবে তা ৪৫ দিনের নির্ধারিত সীমা পার করে। বিজেপির বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়সীমার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় আদালত দিতেও পারে। তেমনটা যদি হয় তা হলে আরও ইলেকশন পিটিশন জমা পড়ার সম্ভাবনাও থাকতেই পারে।

আরও পড়ুন: টাকা না দেওয়ায় আটকে রাখা হল মরদেহ, এসএসকেএমের নজিরবিহীন আচরণে হতভম্ব ওয়াকিবহাল মহল

এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, যে সমস্ত আসন নিয়ে মামলা হবে সেগুলি কোনও ভাবেই মোছা যাবে না। কারণ, মামলায় এই তথ্যগুলি সাক্ষ্য হিসাবে দেখা হবে।