Election Commission: ‘অশান্তি হলে প্রাথমিক দায় রাজ্য পুলিশেরই’, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজ্যকে একগুচ্ছ কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

Election Commission: ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সকালে বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। গতকাল ৮ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করে কমিশন। গতকালই ভোটের আগে হিংসা নিয়ে DM, SP দের কড়া নির্দেশ দেয় কমিশনের।

Election Commission: 'অশান্তি হলে প্রাথমিক দায় রাজ্য পুলিশেরই', সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজ্যকে একগুচ্ছ কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের
রাজীবের পরিবর্তে কে? Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2024 | 2:38 PM

কলকাতা: রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন। আর সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকেই। বিষয়টি সুনিশ্চিত করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।  রবিবারই এ রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সকালে বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। গতকাল ৮ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করে কমিশন। গতকালই ভোটের আগে হিংসা নিয়ে DM, SP দের কড়া নির্দেশ দেয় কমিশনের।

রাজীব কুমার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও গন্ডগোল হলে দায়ী থাকবেন ডিজিপি। কমিশনের কাছে রাজ্যের সমস্ত রিপোর্ট রয়েছে। নির্বাচনে কোনওভাবে পেশিশক্তি, অর্থশক্তিকে বরদাস্ত করা হবে না।

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে রাজ্য কী কী নির্দেশ দেখুন এক নজরে

১. অবাধ, হিংসামুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। ভোটাররা যাতে উৎসবের মেজাজে ভোট দেন।

২. কমিশনের বদলির যে নিয়ম রয়েছে, সেটা সঠিকভাবে মান্যতা পাক।

৩.  ভোট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ের হিংসাকে কড়া হাতে দমন করা হবে। কোনও রকমের সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে থাকবে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা।

৪.  সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো যাতে অনেক বেশি করে বেশি জায়গায় লাগানো যায়। র‍্যালির ক্ষেত্রে যে অনুমতি দেওয়া হয়, তা যেন মান্য করা হয়।

৫. ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আরও বেশি করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হবে। আর পর্যবেক্ষকদের যোগাযোগের নম্বর সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে দেওয়া হবে।

৬. রাজ্যে যাঁরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন, যেমন গ্রিন পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়রদের যাতে ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে না।

৭. জেলাস্তরে প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিয়মিত বৈঠক করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যেক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে জবাব দিতে হবে।