গুরুত্বপূর্ণ পদে অফিসার নিয়োগ, কলকাতা ইডির শক্তি বাড়াচ্ছে দিল্লি

চাপ বাড়ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেটের (Enforcement Directorate) কলকাতা জোনাল অফিসের। তাই গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষপদে একাধিক অফিসার নিয়োগ করে ইডি'র কলকাতা জোনাল অফিসের শক্তি বাড়াচ্ছে দিল্লি।

গুরুত্বপূর্ণ পদে অফিসার নিয়োগ, কলকাতা ইডির শক্তি বাড়াচ্ছে দিল্লি
গুরুত্বপূর্ণ পদে অফিসার নিয়োগ, কলকাতা ইডির শক্তি বাড়াচ্ছে দিল্লি
Follow Us:
| Updated on: Dec 12, 2020 | 11:32 PM

সুজয় পাল: সারদা, রোজ ভ্যালি তো ছিলই, সঙ্গে জুড়েছে কয়লা পাচার ও গরু পাচারের মতো দুর্নীতিও। চাপ বাড়ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেটের (Enforcement Directorate) কলকাতা জোনাল অফিসের। তাই গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষপদে একাধিক অফিসার নিয়োগ করে ইডি’র কলকাতা জোনাল অফিসের শক্তি বাড়াচ্ছে দিল্লি। সূত্রের খবর, শক্তি বাড়িয়ে তদন্তের ঝাঁঝ বাড়াতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই শুক্রবার স্পেশ্যাল ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব নিয়েছেন সুভাষ আগরওয়াল। যিনি মূলত দায়িত্ব সামলাবেন কলকাতা, গুয়াহাটি ও ভুবনেশ্বর শাখার। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ কুমার শেওরান। এছাড়া দীর্ঘদিন পর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদেও পৃথক নিয়োগ করেছে দিল্লি। কলকাতায় ইডি’র সব মামলার তদন্ত-সহ সবরকম দায়িত্ব সামলাবেন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর। ডেপুটি ডিরেক্টর পদের জন্য একজন ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসেসের (আইআরএস) অফিসারকে ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে। আরও পাঁচ ডেপুটি ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারকে পূর্বাঞ্চলীয় শাখা গুলির জন্য নতুন দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। ডেপুটি ডিরেক্টর পদমর্যাদার মোট ছ’জন অফিসারকে কলকাতা, গুয়াহাটি ও ভুবনেশ্বর জোনাল অফিসের দায়িত্ব ভাগ করে দেবেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর।

আরও পড়ুন: ৭ কোটির আয়কর ফাঁকি মামলায় রেহাই সস্ত্রীক চিদাম্বরম পুত্রের

সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে এই মুহূর্তে সারদা, রোজভ্যালি, নারদার মতো মামলার তদন্ত চলছে। সেইসঙ্গে গরু পাচার ও কয়লা পাচার কাণ্ডের মতো দুর্নীতি মামলাতেও নজর রাখছে ইডি। প্রত্যেকটি মামলাতেই শাসকদলের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইডির মতো গুরুত্বপূর্ণ তদন্তকারী সংস্থাকে ঢেলে সাজানো যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। স্পেশ্যাল ডিরেক্টর ও জয়েন্ট ডিরেক্টর দায়িত্ব নিয়েই আগামী সপ্তাহে ইডির সবক’টি মামলার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করতে পারেন বলে খবর। সেখানে ইডিতে চলা মামলাগুলির স্ট্যাটাস রিপোর্ট নেওয়া হতে পারে। সেখানে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আগামীতে কোন পথে তদন্ত এগোবে সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, মাদার ডেয়ারি মামলা ও রোজ ভ্যালি মামলার তদন্তে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

যদিও শীর্ষ পদে আইপিএস অফিসারের বদলে আইআরএস অফিসার নিয়োগ করায় তদন্তের গতি ও ধরপাকড়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে মত ইডির অফিসারদের একাংশের। যদিও ইডি কর্তাদের যুক্তি, আইআরএস অফিসারদের নিয়োগের ফলে অপরাধের ক্ষেত্রে বেআইনি টাকার উৎস ও টাকা কোথায় গেল সেই তদন্তের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। অর্থাৎ ‘মানি ট্রেল’ খুঁজে অপরাধ বের করবে ইডি। অপরাধী ধরবে সিবিআই।

আরও পড়ুন: মুকুলের নামেও পড়ল পোস্টার, লেখা- “আমরা দাদার অনুগামী”