লিভারে জটিল রোগ, হার্ট-কিডনির অবস্থাও খারাপ, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সিরোসিস অফ লিভারে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। এটি লিভারের একটি জটিল রোগ। অভিনেত্রীর মাথায়. ঠোঁটে, নাকে ক্ষত ছিল।
কলকাতা: হার্ট, কিডনি, লিভারের অবস্থা ভালো ছিল না একদমই। লিভারে ছিল মারাত্মক সমস্যা। বলি অভিনেত্রী আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Aria Banerjee) ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ‘সিরোসিস অফ লিভার’এ ভুগছিলেন অভিনেত্রী। এটি লিভারের একটি জটিল রোগ। অভিনেত্রীর মাথায়, ঠোঁটে, নাকে ক্ষত ছিল বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।
মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত নেশার পর টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গিয়েই চোট লাগে তাঁর। পাকস্থলীতে ২ লিটারের বেশি মদ পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, অতিরিক্ত নেশার ফলেই মৃত্যু হয়েছে আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে অন্য বিষয়গুলিও মাথায় রাখছেন তাঁরা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওয়াইনের সঙ্গে ভদকা আর তার সঙ্গে মধু- এই মিশিয়ে নেশা করতেন অভিনেত্রী আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তকারীরা বলছেন, এটা একটা বিশেষ ধরনের নেশা। যার ফলে শরীরে ‘সিনার্জিক এফেক্ট’ তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে সিনার্জিক এফেক্ট তৈরি হলে নেশার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
তদন্তকারীরা আরও দেখেছেন, আরিয়ার মুখের মধ্যে ছিল গুটকা, তামাক। ফ্ল্যাটের যে ঘর থেকে আরিয়ার দেহ উদ্ধার হয়. সেখানে পড়েছিল অর্ধেক মদ ভর্তি একটি গ্লাস। রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মেঝেতে। তবে যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার পাশের ঘরে বসেই নেশা করছিলেন আরিয়া। প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা মনে করছেন, একাই নেশা করছিলেন আরিয়া। নেশা করতে করতেই পাশে ঘরে উঠে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াইন আর ভদকার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নেশা করতেন বলি অভিনেত্রী আরিয়া! তার জেরেই কি মৃত্যু?
শুক্রবার পরিচারিকা প্রথমে ফোন করেন অভিনেত্রীকে। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ফোন সুইচ অফ ছিল। এরপর তিনি ফ্ল্যাটে এসে বেল টেপেন। তাতেও মেলে না সাড়া। অভিনেত্রীর পরিচারিকা বাইরে থেকে দরজা কীভাবে খুলতে হয়, তা জানতেন। সেভাবেই দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, মেঝেতে অভিনেত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে. কয়েকদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরিয়া। তাঁর হেপাটাইটিস বি-র চিকিত্সা চলছিল। তবে তিনি নিয়মিত ওষুধ খেতেন না বলেও মনে করছেন চিকিত্সকরা।