Entally: রাতের কলকাতায় চলল গুলি, জখম মূক-বধির বৃদ্ধ
Entally: দীপক দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী চলন্ত বাইক থেকে অপর এক কর্মী তপন হালদারকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
কলকাতা: ফের রাতের কলকাতায় চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ বিশেষ ভাবে সক্ষম এক বৃদ্ধ। এন্টালি থানার পটারি রোডের ঘটনা। রাত্রিবেলা গুলিবিদ্ধ হন রতন কুমার সাধু খাঁ (৬৩)। স্থানীয়দের অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এলাকায় গুলি চলে।
সূত্রের খবর, দীপক দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী চলন্ত বাইক থেকে অপর এক কর্মী তপন হালদারকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন মূক ও বধির ওই বৃদ্ধ। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তাঁর পেটে লাগে। এনআরএস হাসপাতালে চিকিত্সাধীন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কী ঘটেছে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, রতনবাবু রাত্রি পৌনে এগারোটা নাগাদ ভাইয়ের বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে দোকানে ঘুমোতে যাচ্ছিলেন। তখনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে গলির মধ্যে হঠাৎ গুলি বিদ্ধ হন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধেপ পেটে গুলি লেগেছে। গুলি লাগার পর ওই বৃদ্ধ দৌড়ে গিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর তাঁর আত্মীয়রা এন্টালি থানার পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে হাসাপাতালে ভর্তি করান।
এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন দীপক দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী যখন বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন স্থানীয় বাসিন্দ তপন হালদার তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান, সেগুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ঐ বৃদ্ধের পেটে গিয়ে লাগে।দীপক দাস এবং তপন হালদার দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং ইমারতি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে আসে এন্টালি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। আসেন ডিসি (ESD) প্রিয়ব্রত রায়।
গোটা ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গুলি চলেছে কি না, গুলি চলে থাকলে কী কারণে গুলি চলার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রতনবাবুর এক আত্মীয় বলেন, ‘ও খেতে গিয়েছিল। খাবার পর দোকানের চাবি হাতে নিয়ে দোকানে ঘুমোতে যাচ্ছিল। মাঝ পথে গুলি লাগে। কাদের কী গোষ্ঠী দন্দ্ব জানি না। কাকে মারতে গিয়ে সাধারণ মানুষের লেগেছে।’ অপরদিকে, ডিসি প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘৬৩ বছরের এক বৃদ্ধের গুলি লেগেছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে আমরা দেখছি।’