Firecrackers in Diwali: পরিবেশ-বান্ধব বাজিই ফাটবে দীপাবলিতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: পরিবেশের পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে পরিবেশ বান্ধব বাজির ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ সব রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Firecrackers in Diwali: পরিবেশ-বান্ধব বাজিই ফাটবে দীপাবলিতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2021 | 4:38 PM

কলকাতা : দীপাবলিতে বাজি (Firecrackers) ফাটানোর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হাইকোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়। এবার হাইকোর্টে শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশই বহাল থাকল। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কালি পুজো (Kali Puja) বা দীপাবলিতে (Diwali) কেবলমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজিই (Green Crackers) ফাটানো যাবে। ২ ঘণ্টার জন্য মিলবে বাজি ফাটানোর অনুমতি। বাজি ফাটানো যাবে রাত ৮ টা থেকে ১০ টা।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর বেআইনি বাজি বন্ধের আর্জি নিয়ে বুধবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন বা ‘পেসো’ দ্বারা স্বীকৃত বাজি ছাড়া বাজি বিক্রি করা যাবে না, সেই সঙ্গে হাসপাতালের কাছে বা লোকালয়ের কাছে বাজি ফাটানো যাবে না। এই আর্জি নিয়েই এ দিন ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়।

হাইকোর্টের তরফে এ দিন মামলাকারীকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আর মাত্র একদিন পরেই কালীপূজা। কি আশা করেন আজ বললেই রাজ্য নির্দেশ কার্যকরী করতে পারবে?’ সুপ্রিম কোর্ট ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও পরিবেশ উভয়ের ভারসাম্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করে অবকাশকালীন বেঞ্চ। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নতুন কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ।

অ্যাডভোকেট জেলারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, অধিকাংশ মানুষ নিজেদের বাড়িতেই বাজি ফাটান। বহুতলের জন্য আলাদা আইন আছে। দুঘন্টা বাজির জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দুষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের আইনজীবী নয়ন বিহানি জানান, একিউআই লেভেল যদি ঠিক থাকে তাহলে পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানো যাবে, এমনটাই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। সেখানে সময় নির্দিষ্ট করার কথাও বলা আছে। বাজি ব্যবসায়ীদের আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘মামলাকারী রশ্নি আলি আদতে নিজের স্বার্থে মামলা করেছেন।’ স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গত ১ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, পরিবেশ বান্ধব বাজি ব্যবহার হোক। বাতাসের একিউআই লেভেল বা বাতাসের মান যেখানে খারাপ, সেখানে পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানো যাবে না। তার জন্য পুলিশকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু বাজি একেবারে নিষিদ্ধ করা যাবে না বলেই নির্দেশ আদালতের। ফলে আপাতত পরিবেশ বান্ধব বাজি কেনা বা বিক্রির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।

এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স কোনও রকম ক্ষতি করে না, এমন প্রমাণ মেলেনি। সবুজ বাজি পরীক্ষা করাও সম্ভব নয়। তাই অতিমারিকে মাথায় রেখে এবং এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের কথা ভেবে এবার পুজোয় সবরকমের বাজিই নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরই হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি।

আরও পড়ুন : Petrol Price Today: দাম না বাড়লেও সর্বোচ্চ স্তরে তরল সোনা, বাড়ছে সাধারণ মানুষের জ্বালা