Firhad Hakim: ‘ব্যবস্থা নেওয়া যেত’, জলপাইগুড়ির ‘অমানবিক’ ঘটনায় মুখ খুললেন ফিরহাদ
Firhad Hakim: তিনি জানান, স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। হাসপাতাল কী ভাবে কোনও গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও মৃতদেহ ছেড়ে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
কলকাতা : তিন হাজার টাকা দিয়ে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করার মতো সামর্থ ছিল না ছেলের। তাই অগত্যা মায়ের দেহ কাঁধে নিয়েই হেঁটে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পার হন ছেলে। জলপাইগুড়ির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর দাবি, স্থানীয় পুরসভায় গেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারত। ঘটনাটি অমানবিক বলে উল্লেখ করে ফিরহাদ দাবি করেছেন, ছবি না তুলে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারতেন। এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ।
জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ক্রানি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার। বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি দেহ চাদরে পেঁচিয়ে কাঁধে নিয়ে রাস্তার ধার দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। পরে জানা যায়, দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য তিন হাজার টাকা চেয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। টাকা দেওয়ার সামর্থ ছিল না, তাই দেহ এভাবেই নিয়ে যান ছেলে ও স্বামী। এই দৃশ্য স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, আমি কারও সঙ্গে কথা বলব না, কারও কাছে যাব না, ঘাড়ে করে ক্যামেরায় ছবি তুলব, এই মানসিকতা ঠিক নয়। ছবি না তুলে যদি সমস্যার সমাধানে সবাই সচেষ্ট হতেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। রাজ্য সরকারের সমব্যথী প্রকল্পে দেহ সৎকারের জন্য টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকায় ওই ব্যক্তি শববাহী গাড়ির খরচ মেটাতে পারতেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি জানান, স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। হাসপাতাল কী ভাবে কোনও গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও মৃতদেহ ছেড়ে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুটো কালোবাজারি করা অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারের জন্য গোটা বাংলাকে বদনাম করা যায় না। স্টোরি না বানিয়ে সমস্যার সমাধান করা যেত।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, ‘ফিরহাদ হাকিম শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।’ তাঁর দাবি, এত বড় অমানবিক একটা ঘটনাকে চাপা না দিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারত সরকার।