Garden Reach Money Recover: দুবাই লিঙ্ক রয়েছে আমিরের! কলসেন্টার থেকেই ‘কলকাঠি’ শুরু, নয়া তথ্য গার্ডেনরিচ কাণ্ডে
Garden Reach Money Recover: আমির খানের নিউটাউনের ডুপ্লেক্সেই অফিস ছিল। সেখান থেকে অপারেট করত গেম ব্যবসা। কয়েকজন সঙ্গী সবসময় থাকত।
কলকাতা: গার্ডেনরিচ কাণ্ডে এবার ফেডারেল ব্যাঙ্কের রাজারহাট শাখার অ্যাকাউন্টে নজর দিয়েছে ইডি। ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত গেম অ্যাপের টাকা। খবর ইডি সূত্রে। আর কোথায় কোথায় অ্যাপ গেমের টাকা জমা পড়ত সেই ডিটেইলস সংগ্রহ করছে ইডি। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কার নামে ছিল, সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কের থেকে।
আমির খানের নিউটাউনের ডুপ্লেক্সেই অফিস ছিল। সেখান থেকে অপারেট করত গেম ব্যবসা। কয়েকজন সঙ্গী সবসময় থাকত। গেম ব্যবসা বন্ধ করার পরেই সেই সংক্রান্ত সব গ্যাজেট সরিয়ে ফেলেছে বলে জানতে পেরেছে ইডি। বরাবর টেক স্যাভি ছিলেন আমির। আগে কল সেন্টারে কাজ করতেন। আর সেখানে থাকার সময়েই অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেন।
আমিরের সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যতালাস শুরু হয়েছে। ইডির নজর আমিরের বিদেশ যাত্রাতেও। একাধিকবার বিদেশযাত্রা করেছিলেন আমির। কোথায় কোথায় যেত সেই তথ্য চাওয়া হবে অভিবাসন দফতর থেকে।
টাকা পাচারের উদ্দেশেই কি বিদেশ যাত্রা? খোঁজ করছে ইডি। সূত্রের খবর, দুবাই যাতায়াতের লিঙ্ক মিলেছে আমিরের। ২০১৯ সালের আগে কল সেন্টারে কিছুদিন কাজ করে আমির। ২০১৯ সালে বন্ধু জুনেইডকে প্রস্তাব দেয় গেম অ্যাপ ব্যবসা করার। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কল সেন্টারে কাজ করার পর নিজের কল সেন্টার খোলে। জুনেইদ পার্টনার ছিল। কল সেন্টার চালানোর পাশাপাশি ২০১৯ সালে গেম অ্যাপ চালু করে।
জুনেইদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে গেমের টাকা ঢোকানো হত। টাকা জমা পড়লে জুনেইদকে কমিশন দিয়ে টাকা নিজের কাছে নিত আমির। সেই লিঙ্ক পেয়েই গতকাল যে ৬ জায়গায় ইডি অভিযান চালায়। তার মধ্যে জুনেইদের বাড়িও ছিল।
আমিরকাণ্ডে নিউটাউনের সঞ্জীবা আবাসনেও হানা দিয়েছিল ইডি। আবাসনের ফোর ডি এল ফ্ল্যাটে সকাল ৮ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। তবে ফ্ল্যাটটি আমির খানের মালিকানাধীন কি না তা নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা।