Gariahat Double Murder: ৫০ হাজার টাকায় ৩ জনকে জোগাড়, ছুরি কেনা! আগের রাতেই তৈরি হয়েছিল জোড়া খুনের ‘ব্লু প্রিন্ট’

Gariahat Double Murder: কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত নয়, একেবারে দাগী অপরাধীদের মতো ছক কষেই খুন করা হয়েছে শিল্পকর্তা সুবীর চাকিকে।

Gariahat Double Murder: ৫০ হাজার টাকায় ৩ জনকে জোগাড়, ছুরি কেনা! আগের রাতেই তৈরি হয়েছিল জোড়া খুনের 'ব্লু প্রিন্ট'
কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 1:13 PM

কলকাতা: গড়িয়াহাটের জোড়া খুন (Gariahat Double Murder) মামলায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ভিকি। তবে তার মাকে জেরা করে যে তথ্য উঠে আসছে, তা মারাত্মক চাঞ্চল্যকর। কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত নয়, একেবারে দাগী অপরাধীদের মতো ছক কষেই খুন করা হয়েছে শিল্পকর্তা সুবীর চাকিকে। প্রথমে ধৃত মিঠু জেরায় জানিয়েছিল, খুনের কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাদের। কিন্তু তদন্তকারীদের হাতে যে সব তথ্য উঠে আসছিল, তাতে সেই তত্ত্ব জোরাল বলে মনে হচ্ছিল না। চাপ দিতেই বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। শিল্প কর্তাকে খুন করতে রীতিমতো সুপারি কিলার নিয়োগ করা হয়েছিল। ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ জন জোগাড় করে মিঠু।

খুনের আগের দিন গোটা ছক কষা হয়। মাকে ভিকি জানিয়ে যায়, খুন করে টাকা আদায় করবে সে। মা মিঠুও তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। অপরাধমনস্ক ৩ জনকে জোগাড় করে ভিকি ও মিঠু। ফার্ন রোডের সাইটে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে ভিকি। ট্রেনেই যাতায়াত করে। মূলত ওই তিন জনের সঙ্গে ট্রেনে যাতায়াতের সূত্রেই আলাপ হয় ভিকির।

ঘটনার দিন বিকেল ৪ টে নাগাদ ট্রেন ধরে গড়িয়াহাট আসে ভিকি। মিঠু আসে তারও আগে। বাকি তিন জন পরে আসে। ভিকি তার কাজের জায়গা থেকে এক জনকে জোগাড় করে। মিঠু স্টেশনে অপেক্ষা করছিল। স্টেশনের আশেপাশের দোকান থেকেই ছুরি কিনে আনে ভিকি। তারপর সেই বাড়িতে যায়। খুনের পর মাকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানায় ভিকি।

মিঠু তদন্তকারীদের জানিয়েছে, ভিকি যখন ফোন করেছিল তখন বৃষ্টি পড়ছিল। বৃষ্টি বাড়তেই রাস্তা খালি হয়ে যায়। তখনই ভিকিদের বাড়ি থেকে বের হতে বলে মিঠু। গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভিকি এখনও অধরা। পুলিশের জালে ধরা পড়েনি তার সঙ্গীরাও। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁরা একসঙ্গে নেই। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে আলাদা হয়ে পালাচ্ছে।

দাগী অপরাধীর মতোই ঘন ঘন ডেরা বদল করছে ভিকি। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে কোনও আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বাড়িতে থাকছে না। পুলিশ জানাচ্ছে, এক্কেবারে সুকৌশলে পদক্ষেপ ফেলছে ভিকি। কোনও স্বাক্ষ্য বহন করছে না সে। বুধবার মিঠু গ্রেফতারের পর থেকে ভিকি ও তার সঙ্গীদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ফোনও ট্র্যাক করতে পারছেন না তদন্তকারীরা।

রবিবার গড়িয়াহাট থানা এলাকার ৭৮ এ কাঁকুলিয়া রোডের একটি তিনতলা বাড়ি থেকে সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে প্রথম দিকে ধোঁয়াশা থাকলেও ধীরে ধীরে এবার বোধহয় কিছু সূত্র হাতে আসছে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবার সকালে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। থ্রিডি স্ক্যানারে ঘটনার পুনর্নির্মাণের মধ্যে দিয়েই একাধিক আততায়ীর উপস্থিতির বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ কথাও স্পষ্ট হয়, এই ঘটনায় বাড়ি কেনাবেচার একটা যোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার পুলিশ কুকুর নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বালিগঞ্জ স্টেশন অবধি চলে যায় ওই কুকুর। ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করে সে। এরপরই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন এই ঘটনায় ট্রেনের কোনও যোগ রয়েছে। সুবীর চাকির মোবাইল ফোনের কল ডিটেইল সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপরই ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে আসতে থাকে আসল তথ্য।

আরও পড়ুন: R G Kar Hospital: ৮০ শতাংশ উপস্থিতির হার না পরীক্ষায় বিপদ! আন্দোলনরত হবু ডাক্তারদের টলাতে এবার হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি