Purulia: ‘রিপোর্টের টাইম শেষ, এবার অ্যাকশন’, সাধু-নিগ্রহের ঘটনায় হুঙ্কার রাজ্যপালের
Purulia: উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলেন তিন সাধু। পুরুলিয়া হয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পুরুলিয়ার কাশীপুরে গুজব ছড়ায় এই সাধুদের নিয়ে। অভিযোগ, এরপরই স্থানীয় গ্রামের লোকজন তাঁদের ধরে শারীরিক নির্যাতন করেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি।
কলকাতা: গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে ৩ সাধুকে নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে সরগরম পুরুলিয়া। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার এই ঘটনা সম্পর্কে রাজ্যপাল বলেন, “পুরুলিয়ায় যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত অসম্মানজনক। শোচনীয় ঘটনা। সাধুদের উপর আক্রমণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ বলেই ধরা হবে। আমি সাধুদের উপরে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করি। রাজ্যপালের কাজ শুধু রিপোর্ট চাওয়া নয়, অ্যাকশনও (ব্যবস্থা) নেওয়া। রিপোর্টের টাইম শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অ্যাকশনের সময়। নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অ্যাকশন নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলেন তিন সাধু। পুরুলিয়া হয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পুরুলিয়ার কাশীপুরে গুজব ছড়ায় এই সাধুদের নিয়ে। অভিযোগ, এরপরই স্থানীয় গ্রামের লোকজন তাঁদের ধরে শারীরিক নির্যাতন করেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বলেন, “ভাষাগত সমস্যার কারণে একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বাম আমলে ছেলেধরা বলে বিজন সেতুতে ১৭ জন সাধু সন্ন্যাসীকে পিটিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। পুরুলিয়ায় কিন্তু সাধুদের একজন বলেছেন, পুলিশ সবরকম সাহায্য করেছে।” পুরুলিয়া পুলিশের বক্তব্য, ১১ তারিখ দুপুরে ওই তিনজন সাধু ও তিন স্থানীয় নাবালিকার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয় ভাষাগত কারণে। পুলিশ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই সাধুদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ১২ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।