CV Ananda Bose: মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা রাজ্যপালের
CV Ananda Bose: এদিনের ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপালের মুখে শোনা গিয়েছে 'লেডি ম্যাকবেথ' প্রসঙ্গও। ক্ষোভ উগরে দেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করার ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার এক্সহ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই রাজ্যের উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আমি সামাজিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করছি।”
কী এই সামাজিক বয়কট, রাজ্যপাল তাও নিজের ৫ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের ভিডিয়োতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সিভি আনন্দ বোসের বক্তব্য, “সামাজিক বয়কট মানে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও পাবলিক প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে থাকব না।”
এদিনের ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপালের মুখে শোনা গিয়েছে ‘লেডি ম্যাকবেথ’ প্রসঙ্গও। ক্ষোভ উগরে দেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি।
নিঃসন্দেহে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পর রাজ্য-রাজভবন তরজাই নয়, রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যেও একটা টানাপোড়েন চলে এল। প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার রাজ্যপাল-সাক্ষাৎ নিয়ে দ্বিধার কথা তুলে ধরেছেন প্রকাশ্যেই। বলেছেন, “ওঁর রাজভবনে কেন সবাই যাবেন? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি ঘটছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে, আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।”
এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ১৫ অগস্ট চা-চক্রে রাজভবনে গেলেও গিয়েছিলেন ‘টিম’ নিয়ে। সেখানে বলেছিলেন, “আমি যখন এসেছি আমি বলেছিলাম আমার একা আসতে একটু প্রবলেম আছে। তাই আমি টিম নিয়ে আসব। আমরা কিন্তু একসঙ্গে ১০-১২ জন এসেছি। এটা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বলে এসেছি।”
For information of the staff of Raj Bhavan pic.twitter.com/0A80cL7tbf
— Raj Bhavan Media Cell (@BengalGovernor) September 12, 2024
এবার রাজ্যপালের মুখে শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক বয়কটের কথা। যদিও সিভি আনন্দ বোসের এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল যা বলেছেন শুধু আপত্তিকরই নয়, সাংবিধানিকভাবেও ওই চেয়ারে বসে এ কথা বলতে পারেন না। উনি ওনার এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ অনবরত করে এসেছেন। এগুলো সীমা পার করা। রাজ্যপালের সমস্যা হলে উনি চলে যেতে পারেন।”