Group-D Long march: মাতঙ্গিনী হাজরার গ্রাম থেকে পদযাত্রা বাতিলের নির্দেশ পুলিশের, কী করবেন গ্রুপ-ডি আন্দোলনকারীরা?
ট্রাফিক চলাচল এবং অন্য কারণ দেখিয়ে এই পদযাত্রা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া জেলা পুলিশ। রবিবার এই মর্মে হাওড়া জেলা পুলিশের তরফে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে রাজ্য গ্রুপ ডি ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিদের।
কলকাতা: বিভিন্ন নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নেমেছেন চাকরি থেকে বঞ্চিতরা। কলকাতায় ধর্মতলায় দীর্ঘ দিন ধরেই ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। ৩ এপ্রিল সোমবার লং মার্চ কর্মসূচি নিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তমলুকের হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়ি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনারে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি পর্যন্ত এই পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয় রাজ্য গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চের তরফে। কিন্তু সেই পদযাত্রার প্রয়োজনীয় অনুমতি পুলিশ প্রশাসন দেয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদযাত্রায় অনুমতি দেয়। কিন্তু ট্রাফিক চলাচল এবং অন্য কারণ দেখিয়ে এই পদযাত্রা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া জেলা পুলিশ। রবিবার এই মর্মে হাওড়া জেলা পুলিশের তরফে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে রাজ্য গ্রুপ ডি ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিদের। যার পরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন আন্দলোনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর চলাচলের কারণে এই পদযাত্রা আটকাতে চাইছে পুলিশ।
আজ রাজ্য গ্রুপ ডি ঐক্য মঞ্চের ডাকে তমলুকের হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনি হাজরার বাসভবন হতে ধর্মতলার শহিদ মিনারের মাতঙ্গিনি হাজরার মূর্তি পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সোমবার শুরু হয়ে বুধবার সেই পদযাত্রার ধর্মতলা পৌঁছনোর কথা। কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই পদযাত্রার অনুমতি দিয়েছিলেন। হাইওয়ে দিয়ে মিছিল গেলে যানজট, ব্যবসায়িক ক্ষতি এবং সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা উল্লেখ করে পদযাত্রা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া জেলা পুলিশ। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর চলাচলে হাই সিকিউরিটি জোনের কথা বলে তা বাতিল করেছে পুলিশ। পুলিশ বাতিলের নির্দেশ দিলেও পদযাত্রা কর্মসূচিতে অটল থাকবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ যদি বাধা দেয়, সেখানেই বসে পড়ে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চের অন্য সময় সদস্য আশিস খামারাই এ ব্যাপারে বলেছেন, “আমরা প্রথমে পুুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম পদযাত্রার ব্যাপারে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় আদালতেই দ্বারস্থ হই। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পদযাত্রার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ এখন তা বাতিল করতে বলছে। কিন্তু হোগলা থেকে আমরা যাত্রা শুরু করব। দেখি মাননীয়ার মুখ্যমন্ত্রীর নজর আমাদের সমস্যার দিকে পড়ে নাকি।”