Nrisingha Prasad Bhaduri: ‘আমি জয়শঙ্করের ফ্যান’, বললেন ‘মমতা সমর্থক’ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি
S Jaishankar: জয়শঙ্করকে বিজেপি ম্যান হিসাবেও মনে করেন না নৃসিংহপ্রসাদ। জয়শঙ্করের বক্তৃতা শুনতেই ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনও তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক বলেও জানিয়েছেন।
কলকাতা: একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার কলকাতা এসেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন তিনি। ‘খোলা হাওয়া’র সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহাসিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। তিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের গুণমুগ্ধ বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি জয়শঙ্করের ফ্যান।” এমনকি জয়শঙ্করকে বিজেপি ম্যান হিসাবেও মনে করেন না নৃসিংহপ্রসাদ। জয়শঙ্করের বক্তৃতা শুনতেই ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনও তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক বলেও জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, “জয়শঙ্কর ইজ নট অ্যা বিজেপি ম্যান। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করছেন। আমি শুধুই তাঁর বক্তৃতা শুনতে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন অ্যাকাডেমিশিয়ানের সঙ্গে একজন অ্যাকাডেমিশিয়ানের দেখা হয়েছে। আমি কংগ্রেসের সভাতেও গিয়েছি। তখন তো আপত্তি হয়নি। আমি এখনও মমতার সমর্থক। আমি কিন্তু গতকাল ডিনারে যাইনি। শুধু বক্তৃতা শুনেছি।”
খোলা হাওয়া বিজেপির একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা। খোলা হাওয়ার অনুষ্ঠানে এর আগে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে স্বপন দাশগুপ্ত, শিশির বাজরিয়া, শঙ্কুদেব পান্ডার মতো বিজেপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জয়শঙ্করকে একাধিক প্রশ্ন করেন নৃসিংহপ্রসাদ। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এতদিনের সুসম্পর্ক সত্ত্বেও এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক তৈরিতে কেন উদ্যোগী হয়েছে, সেই প্রশ্ন জয়শঙ্করকে করেন তিনি। জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সবচেয়ে স্থিতিশীল। তবেই সেই গণ্ডিতেই থেমে থাকা উচিত নয়। সম্পর্ক বাড়াতে হয়। ভারত রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী।” সেই সঙ্গে চিনের সঙ্গে কাজের সম্পর্ক তৈরি করা যায় কি না, তাও জানতে চান নৃসিংহপ্রসাদ। সেই প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, “হাত মেলাতে গেলে দুজনকেই হাত বাড়াতে হয়। চিন ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চুক্তি ভেঙে স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।”