মিশন রফতার: হাওড়া থেকে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে ট্রেন! তুঙ্গে রেলের তৎপরতা
Indian Railway: যে যে কাজ বাকি রয়েছে, তা চটজলদি সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'মিশন রফতার'।
স্বর্ণেন্দু দাস, কলকাতা: ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানো হবে হাওড়া-দিল্লি রুটে। দীর্ঘ সময় আগেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ভারতীয় রেল বোর্ডের তরফে। সেই পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে এ বার দ্রুতগতির ট্রেন চালানোর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পূর্ব রেলকে নির্দেশিকা দিল ভারতীয় রেল। পূর্ব রেলকে জানানো হয়েছে, যেন তেন প্রকারে ২০২৪ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনা সফল করতেই হবে। যে যে কাজ বাকি রয়েছে, তা চটজলদি সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিশন রফতার’।
সূত্রের খবর, হাওড়া-দিল্লি রুটে পূর্ব রেলের এমন ২৫০ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে যা ‘প্রবীণ কাঁটা’ হিসেবে পরিচিত। হাওড়া থেকে নিয়ে ধানবাদের আগে পর্যন্ত এই রুটে রেল লাইনের দুধারে ‘ফেন্সিং’-এর কাজ অতি দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, রেল লাইনের দু’ধারে একপ্রকার এমন ব্যারিকেড দেওয়া হবে, যাতে কোনও ব্যক্তি চাইলে ওই ট্র্যাকে ঢুকে না পড়তে পারেন।
দ্বিতীয়ত, হাওড়া-দিল্লি রুটে এমন বেশ কিছু এলাকা রয়েছে যা ‘রেস্ট্রিকটেড স্পিড এরিয়া’ হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ, এই জায়গাগুলো দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের গতিবেগ কম রাখতে হয়। ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড মঙ্গলবার পূর্ব রেলকে জানিয়ে দিয়েছে, হাওড়া থেকে ধানবাদের মধ্যে কোনও ‘রেস্ট্রিকটেড স্পিড এরিয়া’ রাখা যাবে না। কারণ, গোটা যাত্রাপথে ট্রেনের গতিবেগ থাকবে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। গতিবেগ কোনও ভাবেই কমতে দেওয়া যাবে না।
এই গতিবেগ ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। যা নিশ্চিত করতে পূর্ব রেলের আধিকারিকদের কাছে নির্দেশ এসেছে, দ্রুত ডিভিসি-র সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। এবং বিদ্যুতের অবিরত জোগানের জন্য পর্যাপ্ত পাওয়ার সাব সেন্টার তৈরি করে রাখতে হবে। একই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যালিং এবং কেবলের কাজ ২০২৪ সালের অনেক আগেই সেরে রাখতে বলা হয়েছে পূর্ব রেলকে।
রেলওয়ে বোর্ডের আরও নির্দেশ, এই গোটা প্রক্রিয়ার জন্য যে যে টেন্ডার ডাকতে হবে, তার কাজও এই বছর শেষ হওয়ার আগে, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে পূর্ব রেলকে। তবে শুধুমাত্র পূর্ব রেলকে নয়, হাওড়া-নয়া দিল্লি রুটে যতগুলি জ়োন পড়ে, সমস্ত জ়োনগুলিতে একই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে। আরও পড়ুন: ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাননি একজনও’, রাজ্যসভায় জবাব দিল কেন্দ্র