Indian Railway: চোরের দাপটে ঘুম উড়েছে রেলের,বছরে কত চাদর-বালিশ চুরি হয় জানেন?
Indian Railway: পূর্ব রেল সূত্রে খবর,একটি তোয়ালের দাম ৮০ টাকা। চলতি অর্থ বর্ষে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৫০৫টি তোয়ালে চুরি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র তোয়ালে চুরি যাওয়ার আর্থিক পরিমাণ ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা। শুধু এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ আসছে বেডরোলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও।
কলকাতা: অতিষ্ঠ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। চুরি যাচ্ছে বেডরোল। শুধু কি তাই! চুরি যাচ্ছে বালিশও। যার জেরে ক্ষতি হচ্ছে রেলের কোটি-কোটি টাকা। পূর্ব রেলের দাবি, সদ্যসমাপ্ত অর্থবর্ষে প্রতিদিন গড়ে ৭৩ হাজার ৯১৫টি বেডরোল যাত্রীদের মধ্যে বিলি করা হয়েছিল। গত অর্থবর্ষ অর্থাৎ পয়লা এপ্রিল ২০২৩ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৪ এই সময়কালে পূর্ব রেল দু’কোটি ৬৯ লক্ষ ৭৯ হাজার দু’টি বেডরোল যাত্রীদের সরবরাহ করেছিল। তার মধ্যে সাড়ে তিন লাখ চুরি গিয়েছে।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর,একটি তোয়ালের দাম ৮০ টাকা। চলতি অর্থ বর্ষে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৫০৫টি তোয়ালে চুরি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র তোয়ালে চুরি যাওয়ার আর্থিক পরিমাণ ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা। পূর্ব রেল জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, “কিছু অসাধু লোক সব সময় থাকেন। তাঁরা রেলের জিনিস চুরি করে। এতে আমাদের অসুবিধা হয়।” এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ আসছে বেডরোলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও।
আদৌ কি পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে রেল কর্তৃপক্ষ?
পূর্ব রেলের অন্তর্গত শিয়ালদহে থাকা সম্পূর্ণ আধুনিক এবং প্রযুক্তি সম্পন্ন লন্ড্রিতে দৈনিক গড়ে ৪০ হাজার চাদর এবং বালিশের কভার-টাওয়াল পরিষ্কার হয়ে থাকে। লন্ড্রিতে রয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ১৩টি ওয়াশার। ৭টি ড্রায়ার। ৫টি প্রযুক্তি সম্পন্ন আইরনার।
ফ্যাক্টরিতে দেখা গেল, এই ওয়াশার মেশিনে নোংরা হওয়ার চাদর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ওয়াশারে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পরও যদি কিছু চাদরে নোংরা থাকছে দেখা যায়। সেগুলি ফের ওয়াশারে ঢোকানো হয়। এবং নতুন করে কেমিক্যাল দেওয়া হয় পরিষ্কারের জন্য।
ওয়াশারের পর চাদর বা বালিশের কভার বা টাওয়াল ড্রায়ারে ঢোকানো হচ্ছে। সেখান থেকে পরিষ্কার হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় এবং প্রযুক্তি সম্পন্ন ভাবে ইস্ত্রির জন্য চলে যাচ্ছে। সবশেষে চলছে প্যাকিং। মোট ১৮০ জন কর্মী প্রতিটি শিফটে কাজ করে চলেছেন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্য পূর্ব রেলের অধীনে মোট ছটি এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন লন্ড্রি রয়েছে। এই ছয়টি জায়গা হল,শিয়ালদহ,চিৎপুর, টিকিয়াপাড়া,মালদহ,ভাগলপুর,আসানসোল। এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজের পরেও যেভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে উদ্বিগ্ন রেল কর্তৃপক্ষ।