Rare Disease Day: বিরল রোগ দিবসে কলকাতার বুকে নিঃশব্দ বিপ্লব ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থের
Institute of Child Health: প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি 'বিরল রোগ দিবস' হিসেবে পালিত হয়। বিরল রোগগুলি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করতে এই দিনটি পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটিতে 'শাইনিং টুগেদার: সেলিব্রেটিং রেয়ার অ্যাবিলিটিস অন রেয়ার ডিজ়িজ় ডে' নামে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ।
কলকাতা: চিকিৎসাক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে এক নিঃশব্দ বিপ্লব চালিয়ে যাচ্ছে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ। শুধু শিশু হাসপাতালই নয়, শিশু শিক্ষার প্রসারেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের সর্বপ্রাচীন ও পূর্ব ভারতের একমাত্র অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানবসেবায় নিয়োজিত রয়েছে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ। নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, রেসপিরেটরি মেডিসিন, গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি, রিমাটোলজি, হেমাটো-অঙ্কোলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, নিউরো-ডেভেলপমেন্টের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে তারা। এর পাশাপাশি মৃণালিনী সেন্টার ফর ক্যানসার রিসার্চের সহযোগিতায় স্পেশালাইজ়জ ক্যানসার চিকিৎসার পরিষেবাও পৌঁছে দেয়। ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ চায় শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ। এই মহতি উদ্দেশ্যকে সফল করতে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য নিবেদিতা স্কুলও চালায় ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ।
প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘বিরল রোগ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। বিরল রোগগুলি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করতে এই দিনটি পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটিতে ‘শাইনিং টুগেদার: সেলিব্রেটিং রেয়ার অ্যাবিলিটিস অন রেয়ার ডিজ়িজ় ডে’ নামে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ। বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের প্রতিভাকে তুলে ধরার একটি মঞ্চের পাশাপাশি বিরল রোগগুলির বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন করতেই এই উদ্যোগ। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা তাঁদের গল্প, প্রতিভা ও নিজেদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরার সুযোগ পায়।
‘আলোকের এই ঝর্ণা ধারায়’ বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে নিবেদিতা স্কুল ফর স্পেশাল চিল্ড্রেন এবং মৃণালিনী সেন্টার ফর ক্যানসার রিসার্চ। অনুষ্ঠানের মধ্যমণি বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা। তাঁদের প্রতিভার জয়গানকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বিশেষভাবে সক্ষম এই শিশুদের অদম্য মানসিকতা ও ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি কর্মীর কঠোর পরিশ্রমের ফসল এই অনুষ্ঠান। শিশুদের মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আদর্শ মঞ্চ এই অনুষ্ঠান। যাতে জীবনের সব সম্ভব্য প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তারা এগিয়ে যেতে পারে, সেটাই লক্ষ্য ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থের।
এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশুরা বিভিন্নভাবে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরে। কেউ গানে, কেউ নৃত্যে, কেউ নাটকে আবার কেউ অন্য কোনও ভিজ্যুয়াল আর্টের মধ্য দিয়ে আলোয় আলোয় ভরিয়ে তুলল এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থের ডিরেক্টর চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, “আজ বিরল রোগ দিবস। আমাদের হাসপাতালে বিরল রোগের চিকিৎসা করা হয়। বিরল রোগের বিষয়ে মানুষের মনে সচেতনতার জন্যই এই আয়োজন। বিরল রোগ, অটিস্টিক শিশু, ডাউন সিনড্রোমের শিশুদের জন্য আমাদের একটি স্কুল রয়েছে। হাসপাতালের ভিতরেই এই স্কুল। এর পাশাপাশি ক্যানসার আক্রান্তদের জীবন যাতে শুধু অসুখের মধ্যে না কাটে, সেজন্য তাঁদের নিয়েও আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করি। এদের নিয়েই আজ আমাদের অনুষ্ঠান। আমরা শিল্পী রূপঙ্করকে অনুরোধ করেছিলাম, এই অনুষ্ঠানে যাতে তিনি পারফর্ম করেন। তিনিও বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করতে রাজি হয়ে যান।”
ডিরেক্টর চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের কথায়, “এদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। শুধু বিরল রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই নয়, সঙ্গে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের প্রতিভা প্রদর্শনেরও একটি মঞ্চ এই অনুষ্ঠান।”