Jibankrishna Saha: ‘জীবন্ত’ জীবনের জলে ভেজা মোবাইল, মিলেছে অডিয়ো ফাইল, বিধায়কের কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নির্দেশ আদালতের

Jibankrishna Saha: সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, জীবনকৃষ্ণের স্রেফ একটি মোবাইল থেকে কয়েকশো অডিয়ো ফাইল পাওয়া গিয়েছে। সেই অডিয়ো ফাইল এক্সট্র্যাক্ট করা হয়েছে। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

Jibankrishna Saha: ‘জীবন্ত’ জীবনের জলে ভেজা মোবাইল, মিলেছে অডিয়ো ফাইল, বিধায়কের কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নির্দেশ আদালতের
জীবনকৃষ্ণ সাহা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2023 | 4:45 PM

কলকাতা: জীবনের মোবাইল যে জীবন্ত রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিল সিবিআই। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে পেশ করে সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, জীবনকৃষ্ণের স্রেফ একটি মোবাইল থেকে কয়েকশো অডিয়ো ফাইল পাওয়া গিয়েছে। সেই অডিয়ো ফাইল এক্সট্র্যাক্ট করা হয়েছে। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। সেগুলি খতিয়ে দেখতে জীবনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে সওয়াল করেন সিবিআই-এর আইনজীবী। যা নথি উদ্ধার হয়েছে, তার ভিত্তিতেও জেরা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জীবনকৃষ্ণকে ফের হেফাজতে চায় সিবিআই। জীবনের আরও একটি মোবাইল সচল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণকে আলিপুর সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। জীবনের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তিনি আদালতে সওয়াল করেন, যত দিন যাচ্ছে, জন প্রতিনিধি হিসেবে জীবনের সম্মানহানি হচ্ছে। জামিন না হলেও যাতে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়, তারও আবেদন করেন জীবনের আইনজীবী। অর্থাৎ তিনি কেবল সিবিআই হেফাজতে যেতে চান না বলে জীবনের আইনজীবী জানান।

সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, আগে রেকর্ড হওয়া ভয়েস ফাইল পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে জীবনের বর্তমান অবস্থায় ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করে টেস্ট করতে চান গোয়েন্দারা। অর্থাৎ জীবনকৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পল করাতে চায় সিবিআই। যদিও বিচারক স্পষ্ট করে দেন, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করে টেস্ট করতে পাঠানো যাবে না। একমাত্র ম্যাজিস্ট্রেট এর সামনে বা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন স্যাম্পল টেস্ট করার জন্য সংগ্রহ করা যাবে। যদিও তা মানতে চাননি সিবিআই-এর আইনজীবী। তিনি ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর একটি রায়কে উল্লেখ করে বলেন, “তদন্তের স্বার্থে যে কোনও বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ভয়েস স্যাম্পল টেস্টের নির্দেশ দিতে পারেন।”

এরপরই জীবনকৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করার অনুমতি দেয় আদালত। অর্থাৎ সিবিআই হেফাজতেই জীবনকৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করা যাবে। শীর্ষ আদালতের আগের মামলার রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের এই সিদ্ধান্ত। তবে বিচারক স্পষ্ট করে দেন, স্বাধীন সাক্ষীর উপস্থিতিতে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে হবে। কোনওভাবে অভিযুক্তের উপর কোনও চাপ তৈরি করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন বিচারক। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জীবনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।