Job Seekers: উলটপুরাণ! চাকরি পেতে বিহারে যাচ্ছেন বাংলার হবু শিক্ষকরা
Job Seekers: কয়েকটা বছর আগেও যদি পিছিয়ে যাওয়া যায়, দেখা যায়, বিহার থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে বাংলায় পড়াশোনা করতে আসত, এখানে চাকরি করত। কিন্তু গোটা চিত্রটা বদলে নিয়ে শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি। ২৯ মে নবম ও দশম শ্রেণির টেট পরীক্ষা হয়েছে। বিহারে পরীক্ষা দিতে গিয়েছে বাংলার প্রচুর চাকরিপ্রার্থী।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের পর বাংলার শিক্ষক নিয়োগে ছেদ পড়েছে। শিক্ষকতার চাকরি আপাতত হচ্ছে না। তাই বাংলার ছেলেমেয়েরা এখন চাকরি পেতে যাচ্ছেন বিহারে। বিহারে নবম ও দশম শ্রেণির টেটে বাংলার প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি। আর তাতে টেট পরীক্ষার আগে হোটেলগুলো বুকড্ । থাকার জায়গার অমিল। তাই পাটনার প্ল্যাটফর্মেই ঠাঁই হল বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের। আর সেই ছবি TV9 বাংলার হাতে।
কয়েকটা বছর আগেও যদি পিছিয়ে যাওয়া যায়, দেখা যায়, বিহার থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে বাংলায় পড়াশোনা করতে আসত, এখানে চাকরি করত। কিন্তু গোটা চিত্রটা বদলে নিয়ে শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি। ২৯ মে নবম ও দশম শ্রেণির টেট পরীক্ষা হয়েছে। বিহারে পরীক্ষা দিতে গিয়েছে বাংলার প্রচুর চাকরিপ্রার্থী। ২০১৬ সালের পর এসএসসি-তে আর কোনও নিয়োগ হয়নি বাংলায়।
প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগও হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক হচ্ছে, বলাই বাহুল্য তা অত্যন্ত শ্লথ গতিতে। কিন্তু বছরের পর বছর চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে বাংলা না হোক, প্রতিবেশী রাজ্যেই একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা।
বিহারে যাঁরা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই হিন্দি ভাষায় পরীক্ষা দিচ্ছেন, অনেকে উর্দু, ইংরাজিতেও পরীক্ষা দিচ্ছেন। বিহারে পরীক্ষা দিতে যাওয়া এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “বিহারে ভ্যাকান্সি কম। কিন্তু তবুও সেখানে চাকরি পেতেই বাংলার ছাত্রছাত্রীদের ভিড়, বাংলার সরকারের লজ্জার।”
বাম আমলের শেষে নিয়ম করে প্রতি বছর SSC নিয়োগ হত। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর আর কারোর নিয়োগ হয়নি। ২০১৭, ২০২২, ২০২৩ সালে নিয়ম করে প্রাথমিকের টেট হলেও, কোনও নিয়োগ হয়নি। সঙ্গে তো রয়েছে দুর্নীতির কাঁটাও। তৃণমূল জমানায় অনেক বিএড, ডিএলএড কলেজও খুলেছে। হচ্ছে শিক্ষক প্রশিক্ষণও। পাশ করে বেরনো বেকারের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। কিন্তু চাকরির সংস্থান কই? তাই বাংলার চাকরিপ্রার্থীরা যাচ্ছেন ভিন রাজ্যে। পাটনা প্ল্যাটফর্মেই সেই ছবিই যেন তার প্রমাণ।
তবে এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওঁ সবসময় বলেন বাংলাকে বিহার হতে দেবেন না। সেই বিহারেই বাংলার ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য যেতে হচ্ছে।” যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “পরিসংখ্যান দেখুন। পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা ২০১১ সালের পর থেকে অনেক কমেছে। অন্যদিকে, পরিযায়ী হিসাবে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার সংখ্যা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেই বেশি। এটা পরিসংখ্যান বলছে। “