Primary Education: শিক্ষক নিয়োগে ১৪টা ভুল ধরিয়ে নয়া পর্ষদ সভাপতিকে খোলা চিঠি চাকরিপার্থীদের
Primary Education: চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, একবার নয়, দুবার পরীক্ষা দিতে হয়েছে। বাসের পিছন দিয়ে প্রশ্ন পড়ে গিয়েছে। বয়স হয়নি তারাও টেট পরীক্ষা দিয়েছে।
কলকাতা: “মুখ্যমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস করে আমরা বারবার ঠকতে চাইনা।” নবাগত পর্ষদ সভাপতিকে খোলা চিঠি চাকরিপ্রার্থীদের। যা নিয়ে রাজনৈতিক শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা। এদিকে আদালতের নির্দেশে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। কিছুদিন আগেই নতুন দায়িত্বে এসেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য গৌতম পাল। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে গৌতম বাবু জানিয়েছিলেন, এখন থেকে প্রতি বছর টেট হবে। পাশাপাশি স্বচ্ছভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে পর্ষদের আগামীর পথ চলা কেমন হবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। তাতেই যেন নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার নবাগত পর্ষদ সভাপতিকে খোলা চিঠি লিখে ফেললেন চাকরিপ্রার্থীরা। একইশঙ্গে গৌতমবাবুর পূবসূরির বিরুদ্ধেও ওই চিঠিতে একগুচ্ছ অভিযোগও তুললেন তাঁরা।
এই চিঠি সামনে আসতেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে বিস্তর চাপানউতর। কী রয়েছে ওই চিঠিতে? চিঠির শুরুতেই চাকরি প্রার্থীদের তরফে লেখা হয়েছে। আপনি যে চেয়ারে বসে রয়েছেন সেই চেয়ারে পূর্বের ব্যক্তি ২০১৪ সালের পর কতটা অত্যাচার করে গিয়েছে আপনার জানা দরকার। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, একবার নয়, দুবার পরীক্ষা দিতে হয়েছে। বাসের পিছন দিয়ে প্রশ্ন পড়ে গিয়েছে। বয়স হয়নি তারাও টেট পরীক্ষা দিয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে পাশ করেছে। ওএমআর সিট নষ্ট করে দিয়েছে। কোনও মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেনি। এসএমএসের মাধ্যমে নিয়োগ করেছে। রাতের অন্ধকারে নিয়োগ করেছে। কতজনের নিয়োগ হয়েছে তার কোনও হিসাব নেই।
একইসঙ্গে এই চিঠিতে মমতার চাকরির প্রতিশ্রুতির কথাও মনে করিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্ত ঘটনার পর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন ২০১৪ সালের টেট পাশ প্রশিক্ষিত কুড়ি হাজার প্রার্থীকে ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীদের স্বপ্ন এবং বেকারদের স্বপ্ন কোনওটারই দাম প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির কাছে ছিল না।