Recruitment Scam : ‘বিষয়টা একঘেয়ে হচ্ছে’, প্রাথমিকের তদন্তে সিবিআইয়ে ‘বিরক্ত’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Recruitment Scam :‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ছে’, প্রাথমিক তদন্তের শুনানি কেন এ কথা বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)?

Recruitment Scam : ‘বিষয়টা একঘেয়ে হচ্ছে’, প্রাথমিকের তদন্তে সিবিআইয়ে ‘বিরক্ত’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 3:20 PM

কলকাতা : ‘বন্দে ভারত না হলেও শতাব্দীর গতিতে অন্তত তদন্ত করুন’। এ ভাষাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের বিচারপতি। ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এবার কার্যত একই সুর শোনা গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির মুখে। বর্তমানে শ্রীঘরে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। তাঁর সঙ্গেই শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে আরও একাধিক প্রাক্তন আমলার। কিন্তু, কতদূর এগিয়েছে প্রাথমিকের তদন্ত প্রক্রিয়া? এদিন আদালতে সিবিআই-র আইনজীবীর কাছে এই প্রশ্নেরই উত্তর চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এদিন খানিক বিরক্তও দেখায় তাঁকে। “যত দিন যাচ্ছে গোটা বিষয়টা একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে। হচ্ছে টা কী? আমার কাছে বিষয়টা একঘেয়ে হয়ে গেলে বাকি বাইরের লোকেদের কাছে বিষয়টা একঘেয়ে হয়ে যাবে।” এদিন শুনানি চলাকালীন এ কথাও বলেন তিনি। 

পাশাপাশি সামনের মাসেই চাইতে পারেন এ সংক্রান্ত রিপোর্ট। শুক্রবার এ কথাও সিবিআইয়ের আইনজীবীকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। তা নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে। এমনকী তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে প্রয়োজনে সিবিআইকে ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। কড়া ভাষাতে বলেন, “কতজন ব্যক্তির পাসপোর্ট পরীক্ষা করেছেন? কতবার বাইরে গিয়েছেন দেখেছেন? ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলুন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। তদন্ত শেষ হলে বুঝতে পারবেন দুর্নীতি কতটা গভীর। পুরো নিয়মে একটা বড় ফাঁকি আছে।” 

একইসঙ্গে এদিন ২০১৪ র টেটের OMR মূল্যায়নের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা থেকে তালিকা ( Master Data of TET) নিয়ে নম্বর বিভাজন বুঝে নেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। এরপরেই ফের করেন প্রশ্ন। এই তালিকায় কত টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে সেই কলাম কোথায়? কতগুলি করে ভুল উত্তর দেওয়া হয়েছে? জানতে চান এগুলিও। মাস্টার ডাটায় কেন সেগুলি নেই সে বিষয়ে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন। “একটা তালিকা যেখানে ঠিকুজি আছে, কুষ্ঠি আছে, সব আছে, শুধু বাবার নাম নেই।” এদিন খানিক রাগান্বিত ভঙ্গিতেই এ মন্তব্য করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। তবে বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা। তাঁদের তরফে বলা হয়, “পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২২০৮ জনের একটা অতিরিক্ত প্যানেলও আমরা তৈরি করেছিলাম। কমপক্ষে ১২ বার এই প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এই তথ্য আমরা পর্ষদকে পাঠিয়েছিলাম। ২০১৭ সালে এই অতিরিক্ত প্যানেল তৈরি করা হয়।” এরপরই সবিস্ময়ে বিচারপতি বলে ওঠেন, “এটা তো নতুন তথ্য, এ তো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ছে।”