Kasba: সঙ্গে সঙ্গে মিলবে না অনুমোদন, কসবার গুলিকাণ্ডের পর বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত
Kasba: বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, বরো ১২ অধীনস্থ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস লাগোয়া এলাকা, যাদবপুর, কসবা, আনন্দপুর এবং গুলশান কলোনি সহ এলাকায় এবার থেকে বাড়ি নির্মাণের নকশা জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গেই তা মিলবে না অনুমোদন।
কলকাতা: কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলার পর প্রথমবার বরো বৈঠক। কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোতে বৈঠক হয় বুধবার। বরো ১২’র অধীনস্থ এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে হবে না অনুমোদন, নির্মাণস্থল সশরীরে খতিয়ে দেখতে যেতে হবে আধিকারিকদের। বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, বরো ১২ অধীনস্থ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস লাগোয়া এলাকা, যাদবপুর, কসবা, আনন্দপুর এবং গুলশান কলোনি সহ এলাকায় এবার থেকে বাড়ি নির্মাণের নকশা জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গেই তা মিলবে না অনুমোদন। এবার থেকে বরোর আধিকারিকরা সরাসরি ওই জায়গাগুলি পরিদর্শনে যাবেন, অতীতের ওই জমির রেকর্ড কী আছে তা খতিয়ে দেখবেন, সেখানে যদি দেখা যায় জলাভূমি রয়েছে, তাহলে অনুমতি দেওয়া হবে কি দেওয়া হবে না, সেটা বরো থেকে কলকাতা পৌরসভার সদর দফতরে ফাইল পাঠানো হবে। অর্থাৎ কসবা কাণ্ডের পর রীতিমতো সতর্ক বরো ১২।
অবাধে জলাশয় ভরাট এবং একের পর এক নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বল এদিন বৈঠকে স্থির গত হয়েছে। বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের তরফে বিষয়টি তাঁর বরোর কর্তা আধিকারিকদেরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাসে একের পর এক জলাশয়ে ভরাট এবং বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ১০৭,১০৮, ১০৯ এবং ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে।
স্বাভাবিকভাবেই বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করতে বৈঠক থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত বিল্ডিং প্ল্যান খতিয়ে দেখার জন্য সশরীরে আধিকারিকদের যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা বলে নেওয়া হবে বলে এদিন বৈঠকে স্থির হয়েছে।