কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা অনুচিত? কেন্দ্রের প্রশ্নের উত্তরে আজই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন আলাপন
আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের শোকজের চিঠির উত্তর দেওয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay )।
কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের শোকজের চিঠির উত্তর দেওয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay )। আজই, শোকজ চিঠির উত্তর দিতে পারেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কলাইকুণ্ডার বৈঠকে যোগ না দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে শোকজ করে কেন্দ্র। উত্তর দেওয়ার জন্য তাঁকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়। এদিনই তা শেষ হচ্ছে।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারেন। কেন্দ্রের পাঠানো চিঠির শেষ প্রান্তে লেখা ছিল, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে যোগ না দিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন।
তবে কেন বা কী কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁকেই। সে প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে নিজের যুক্তি চিঠিতে তুলে ধরতে পারেন আলাপন। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের একটি টিম আলাদা চিঠি দিতে পারে। পাশাপাশি বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী একটি চিঠি করতে পারেন। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করে, এরপর সেদিকে নজর থাকবে।
গত ২৮ মে থেকে যে ইস্যু বাংলার রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় স্তরে পৌঁছেছে তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রেক্ষিতে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠক ও তাতে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের স্বল্প সময়ের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন। এরই ভিত্তিতে গত সোমবার দিল্লির নর্থ ব্লকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।
নির্ধারিত সময় দিল্লিতে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করে কেন্দ্র। ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের কর্মীবর্গ দফতরের পক্ষ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়। নির্দেশ আসা সত্ত্বেও তিনি কেন হাজিরা দিলেন না, সেই কারণ জানতে চেয়ে এই শোকজ করা হয়েছে। চিঠিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যসচিব বলেই সম্বোধন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লির নর্থ ব্লকে রিপোর্ট না করে গত সোমবারই মুখ্যসচিবের পদ থেকে ইস্তফা দেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেন তিনি। তারপরই তাঁকে শোকজ করে কেন্দ্র। কিন্তু সেই চিঠিতে কেন তাঁকে মুখ্যসচিব বলে সম্বোধন করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মুখ্যসচিব পদে থেকে যেতেন, তাহলে টানাপোড়েন আরও বাড়ত। কেন্দ্র-রাজ্য আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হত। সেই সম্ভাবনার রাস্তা খোলা না রাখতেই আলাপনকে অবসরে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই শোকজে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আরও চরমে ওঠে।